ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

পরশুরামে স্থাপন হবে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
পরশুরামে স্থাপন হবে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার 

ফেনী: ফেনীর পরশুরামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের নামে তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।  

দেশের অন্যান্য ১৪টি উপজেলার মতোই পরশুরামে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি এরই মধ্যে প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

পৌর এলাকার গুথুমাতে এ আইটি ট্রেনিং সেন্টার হতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।  

পরশুরাম পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল জানান, পরশুরামের পৌর এলাকার গুথুমাতে ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের পারিবারিক সম্পত্তির দুই একর জমিতে এ আইটি সেন্টার ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশে ৩৯টি হাইটেক আইটি পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি স্থানে সফটওয়্যার টেকনোলজি, আইটি বিজনেস, ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। দেশের বিপুলসংখ্যক তরুণ বেকারের কর্মসংস্থান তৈরি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন সম্ভাব্য অঞ্চলে আইটি পার্ক স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।  

কেন না এসব পার্ক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠান তৈরির জন অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরি করবে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, মূলত এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইসিটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলও এখান থেকেই তৈরি হবে। প্রশিক্ষণ নেওয়া তরুণরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও কাজ করার সুযোগ পাবেন। আবার তারা স্টার্টআপ গড়ে তুলে নিজেরাই উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।

আইসিটি বিভাগ বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে আইটি ও হাইটেক সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি আইটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমিয়ার সেতুবন্ধন তৈরি করা যাবে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিপিও খাতকে একটি প্ল্যাটফর্মেও নিয়ে আসা যাবে বলে মনে করছে আইসিটি বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আইসিটি বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রকল্প প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়।

সেসব সুপারিশ প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এসএইচডি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।