ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কলড্রপ-ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে বকাবকি শুনতে হয়: বিটিআরসি চেয়ারম্যান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
কলড্রপ-ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে বকাবকি শুনতে হয়: বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিপি হাউজে আটটি বিভাগীয় শহরে গ্রাহকদের ফাইভজি ট্রায়াল শুরু উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তব্য রাখেন | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: কথা বলতে গেলে কলড্রপ হয়, নেটওয়ার্ক ঠিক মতো পাওয়া যায় না, ফোরজির পজিশন খুব খারাপ, ইন্টারনেটের স্পিড নাই—এ নিয়ে বকাবকি শুনতে হয় অনেক কাস্টমারের। এমন মন্তব্য করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে গ্রাহকদের ফাইভজি ট্রায়াল শুরু করা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান ৫জি বিষয়ে কি-নোট উপস্থাপন করেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের জীবন প্রবাহে খাবারের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ এখন মোবাইল ফোন। তারা অটোমেশন বোঝে না, ফাইভজিও বোঝে না, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বোঝে না, আইওটিও বোঝে না; তারা কী বোঝে? তারা বোঝে আমি কথাটা ঠিকমতো বলতে পারি কিনা। তার পরে অন্য জিনিস।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের এই পর্যায়ের মানুষগুলো, কম শিক্ষিত মানুষগুলো, দরিদ্র মানুষগুলোর ইন্টারনেটের ব্যবহারে প্রয়োজন থাকতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে ভাবনার বিষয় আছে। সকলের একটা বিষয় হলো, মোবাইল ফোনে কথা বলতে গেলে যেন বিনা বাধায় কথা বলতে পারি। সেই জায়গায় তাদের বড় ধরনের অভিযোগ আমাদের দিকে আছে যে, কথা বলতে গেলে কলড্রপ হয়, নেটওয়ার্ক ঠিকমতো পাওয়া যায় না। যেটি আমরা বলে থাকি কোয়ালিটি অব সার্ভিস। সেই জায়গা থেকে আমি বলবো বাংলাদেশের সব মোবাইল অপরেটরের দুরাবস্থা বিদ্যমান। এখন এই দুরাবস্থার মধ্যে থেকে তাদের প্রশ্ন, আমি এই ফাইভজি দিয়ে কী করবো, এখনও টুজি ঠিক হয়নি, থ্রিজি ঠিক হয়নি, ফোরজি দিয়ে কী করবো, ফাইভজি দিয়ে কী করবো? আমি তাদের এই বক্তব্যটাকেও সমর্থন করি না। ওই জায়গাটাতে ত্রুটি ঠিক, সেই ত্রুটিপূর্ণ জায়গাটার সংশোধন অবশ্যই করতে হবে। ওই রকম দুরাবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতেই হবে পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সেই জায়গাতে নিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য আমরা একসাথে সবগুলো কাজ করবো। আমরা থ্রিজি, ফোরজি, ফাইভজির যে প্রায়োগিক দিকগুলোর ক্ষেত্রে সবগুলো ক্ষেত্রে কোয়ালিটি এনশিওর করতে হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমার ফোরজির পজিশনটা খুব খারাপ, ইন্টারনেটের স্পিড নাই— এ নিয়ে বকাবকি শুনতে হয় অনেক কাস্টমারের। সেই জন্য আপনাদের বিভিন্ন রকমের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।

বিটিআরসির টিম পরিদর্শন করেছে জানিয়ে শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, আপনাদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখিয়েছি কোথায় ডিফেক্ট আছে। আপনারা যে চেষ্টা করছেন না, তা বলবো না। আপনাদের চেষ্টা আছে। আমাদেরও সার্বক্ষণিক তদারকি আছে। আমরা আপনাদের চাপে রেখেছি। যদি খোলাখুলি বলি কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো করার চাপে রাখার কারণে আপনাদের নতুন সিম বন্ধ করে দেওয়া আছে। আপনি আপনার কোয়ালিট ভালো করে মার্কেট সাইজ বড় করবেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র ইঅ্যান্ডও বিভাগের কমিশনার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ, মহাপরিচালক (সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগ) আশীষ কুমার কুন্ডু, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব, চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম, চিফ টিকনোলজি অফিসার জয় প্রকাশ, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।