ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিকিমে বেশি সন্তান জন্ম দিলে বেতন বাড়বে নারী কর্মচারীদের 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
সিকিমে বেশি সন্তান জন্ম দিলে বেতন বাড়বে নারী কর্মচারীদের  প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত

ভারতের সিকিম রাজ্যে জন্মহার বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক সন্তান থাকলে বিশেষ সুবিধা পাবেন নারী সরকারি কর্মচারীরা।

কারণ ভারতে সবচেয়ে কম জন্মহার সিকিম রাজ্যে।  

এনডিটিভিসহ ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে আদিবাসী জাতির জনসংখ্যা কমছে। এছাড়াও সাধারণ জনসংখ্যাও নিম্নগামী। সেই হ্রাস আটকাতেই এবার অভিনব পদক্ষেপ নিল সিকিমের প্রেম সিং তামাং-এর সরকার।  

সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দিতে নারী কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশে জানানো হয়, দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য বিশেষ বেতন পাবেন নারী কর্মচারীরা।

অন্য রাজ্যের তুলনায় সিকিমে সবচেয়ে কম সন্তান উৎপাদনের হার। এর ফলে জনসংখ্যার উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সেই সমস্যা এড়াতেই নারী সরকারি কর্মীদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার পদক্ষেপ নিল সিকিম সরকার। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সন্তান উৎপাদনের হার বাড়াতেও সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রায় এক বছর আগে ২০২১ সালে ১৪ নভেম্বর ক্যাবিনেট গঠন করে সিকিমের ক্রান্তিকারি মোর্চা। সরকার গড়ার এক বছরের মধ্যেই এমন  পদক্ষেপ নেওয়া হলো।  

প্রসঙ্গত, সন্তান উৎপাদনের হার বাড়াতে এই প্রথম ভারতের কোনো রাজ্য এমন সুবিধার কথা ঘোষণা দিল।  

সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারী সরকারি কর্মচারীরা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলে তাদের বেতনে বিশেষ বৃদ্ধি হবে। আর তৃতীয় সন্তান হলে দুবার বাড়ানো হবে বেতন। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়, শিশুর জন্মের পর মায়েরা এক বছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। অন্যদিকে সদ্য বাবা হয়েছেন এমন কর্মচারীরা ৩০ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, সন্তান উৎপাদনের হার অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এই ক্রমহ্রাসমান জন্মের হার বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হলো। আঞ্চলিক লোকদের সন্তান জন্মে উৎসাহ দিতেই চালু করা হলো এই সুবিধা। তার কথায়, গত কিছু বছরে সিকিমের জন্ম হার অনেকটাই কমে গেছে। পাশাপাশি প্রতি নারী পিছু একজন করে শিশুর পরিসংখ্যান আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে উদ্বেগ।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক যেসব নাগরিকের একের বেশি সন্তান রয়েছে, তারাও আর্থিক সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। এই সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারটি রাজ্যের স্বাস্থ্য নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর দেখাশোনা করছে।

এই বিশেষ সুবিধাগুলোর পাশাপাশি তামাং সরকারের তরফে জানানো হয়, বিভিন্ন হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্যে সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে যে নারীরা সন্তান উৎপাদনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তারাও সন্তান নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।