ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নির্বাচনের আগে জান্তার কঠোর আইন ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
নির্বাচনের আগে জান্তার কঠোর আইন ঘোষণা

প্রায় দুই বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী সামরিক বাহিনী (জান্তা সরকার) দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নতুন একটি কঠোর নতুন আইন ঘোষণা করেছে। এ আইন আগামী আগস্টে মিয়ানমারে প্রতিশ্রুত নির্বাচনের সুষ্ঠুতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, নতুন আইনটি ২০১০ সালে জারি করা মিয়ানমারের নির্বাচনী আইনকে প্রতিস্থাপন করবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, যে দলগুলো জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের নিবন্ধন নেওয়ার তিনমাসের মধ্যে কমপক্ষে এক লাখ সুরক্ষিত সদস্য থাকতে হবে। অন্তত ১০ কোটি মায়ানমার কিয়াত বা ৪৫ হাজার ডলার সংরক্ষিত থাকতে হবে। আগের সংরক্ষিত অর্থের তুলনায় এটি ১০০ গুণ বেশি। টাকা জমা রাখতে হবে রাষ্ট্রায়ত্ত মিয়ানমা ইকোনমিক ব্যাংকে।

জান্তা সরকারের নেতা মিন অং হ্লাইং স্বাক্ষরিত আইনটি শুক্রবার রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনে অংশ নিতে চায় এমন যেকোনো দলকে অবশ্যই আইন জারির দুই মাসের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। অন্যথায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবৈধ হয়ে যাবে। আইনের বিধান মেনে চলতে না পারলে দলগুলোতে তিন বছরের জন্য স্থগিত করা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত দল বিলীন করে দেওয়া হতে পারে।

দলের নিবন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি নেই বলেও আইনে উল্লেখ করা হয়।

মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে সরিয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সাং সু চিকেও আটক করা হয়। এরপর বিভিন্ন কারণে (বিক্ষোভ, দাঙ্গা) দেশটির প্রায় ৩ হাজার নাগরিক জান্তা বাহিনী দ্বারা নিহত হয়। ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত এ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দলগুলো নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার নাগরিককেও আটক করা হয়।

২০২১ সালে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যালেনে দেওয়া এক ভাষণে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারের দখলদার সরকার ক্রমাগতভাবে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চাপের মধ্যে ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। এতসব চাপ সামলাতেই নির্বাচনের ঘোষণা দেয় জান্তা সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।