ভারতের তীব্র শীতল এলাকা লাদাখ। যেখানে তাপমাত্রা মাইনাসে পড়ে থাকে।
তবে ২০০৯ সালে বলিউড সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’ মুক্তির পর জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সোনাম ওয়াংচুক। কারণ ওই সিনেমায় ‘ফুংসুক ওয়াংরু’ নামের এক ব্যতিক্রমধর্মী বিজ্ঞানীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির খান। আর সোনম ওয়াংচুকের ব্যক্তিত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছিল।
লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাদাখের প্রকৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচ দিনের অনশন শুরু করেছেন ওয়াংচুক।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) তে এক টুইটার পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন ওয়াংচুক নিজেই।
ওই পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, তাকে গৃহবন্দি কিংবা তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে। তবে এর মধ্যেও অনশন চলছে তার।
GOOD MORNING WORLD!
— Sonam Wangchuk (@Wangchuk66) January 29, 2023
4th day of my #ClimateFast to #SaveLadakh under #6thSchedule of Indian constitution.
You all can join me tomorrow 30th Jan, last day of my fast. You can organise a 1 day fast in your area in solidarity with #Ladakh & ur own surroundings#climate #ILiveSimply pic.twitter.com/tCBDqeB0Rv
ওয়াংচুকের গৃহবন্দি হওয়ার বিষয়ে লাইভ মিন্ট বলছে, খারদুংলায় অনশনে বসবেন বলে প্রথমে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানকার তাপমাত্রা বর্তমানে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি। এরপর সিদ্ধান্ত বদলে ওয়াংচুক হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অব অলটারনেটিভ লাদাখে (এইচআইএএল) অনশন শুরু করেন।
ওয়াংচুকের অভিযোগ, প্রশাসন সেখানেও বিধিনিষেধ জারি করেছে এবং তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ওয়াংচুক লাদাখের মানুষের জন্য সহায়তা চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ১৩ মিনিটের একটি ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে বলেন, লাদাখের মানুষেরা ভালো নেই।
লাদাখে একের পর এক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে ওয়াংচুক আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এমনিতেই সুপেয় পানি সংকটে থাকে লাদাখের বাসিন্দারা। এই শিল্পকারখানা গড়ায় এ সংকট আরও চরম আকার ধারণ করবে। এছাড়া খনন এবং এ ধরনের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে লাদাখের হিমবাহ গলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
উল্লেখ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মোদির কাছে আবেদন জানান তিনি।
সোনম ওয়াংচুক একজন যন্ত্রপ্রকৌশলী ও উদ্ভাবক। স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অব লাদাখ (এসইসিএমওএল) নামে একটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। উদ্ভাবনমূলক এ স্কুল সৌরশক্তিতে পরিচালিত হয় যেখানে রান্না করা, আলো জ্বালানো কিংবা কক্ষ উষ্ণ রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় না। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সব সময়ই সোচ্চার এই উদ্ভাবক ২০১৮ সালে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান। ২০২২ সালে পান পাওলোস মার গ্রেগরিয়াস পুরস্কার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এসএএইচ