ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল জেন্স স্টলেনবার্গ বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক মৈত্রী জাপানের সঙ্গে অংশীদারত্ব শক্তিশালীকরণ অব্যাহত রাখবে। আমাদের নিরাপত্তা ঘনিষ্টভাবে আন্তঃসম্পর্কিত।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সোমবার টোকিওতে তিনি এসব কথা বলেন। ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে সিওলের প্রতি আহ্বান জানান ন্যাটো প্রধান। তিনি জানান, তার এই সফরের উদ্দেশ্য ন্যাটো ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার জাপানের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা।
মঙ্গলবার টোকিওর উত্তরে ইরুমা বিমানঘাঁটি পরিদর্শনকালে স্টলেনবার্গ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ স্পষ্টতই দেখিয়ে দেয় যে, আমাদের নিরাপত্তা ঘনিষ্টভাবে আন্তসম্পর্কিত।
তিনি বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধে জিতে যায়, তা ইউক্রেনবাসীর জন্য হবে ট্রাজেডি। তবে এটি বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী নেতাদের ভয়াবহ একটি বার্তা দেবে। বার্তাটি হবে এই যে, তারা যা চাইবে তা পেতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।
স্টলেনবার্গ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের সবার জন্যই গুরুত্ব বহন করে। জাপান উড়োজাহাজ ও কার্গো সক্ষমতা ব্যবহার করে যে সহযোগিতা দিচ্ছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউরোপের মতো এশিয়াতেও রাশিয়ার আগ্রাসন চলতে পারে, যেখানে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে হুমকি আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে জাপান সাম্প্রতিক বছগুলোতে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ইউরোপ ও ন্যাটোর সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রেও বেশ তৎপর ছিল জাপান। দেশটি ইউক্রেনে মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে ন্যাটোপ্রধানের সফরের নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলছে, ন্যাটো এই অঞ্চলে সামরিক বুট স্থাপনের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের চাপ দিচ্ছে কিয়েভকে অস্ত্রশস্ত্র দিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
আরএইচ