২০২৩ সালের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রে ৫২টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ৯৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ নামক একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার ওয়েবসাইটে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে বন্দুক হামলা বাড়ায় নতুন আইন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু প্রদেশ।
মেরিল্যান্ড প্রদেশে আনা হচ্ছে বেশ কিছু আইন। যেমন, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা। এছাড়াও- অস্ত্র নিয়ে স্কুল, কলেজ, লাইব্রেরি, হাসপাতাল, ধর্মস্থান বা পার্কে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, বন্দুক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ ইত্যাদি।
২০২২ সালের মে মাসে মিশিগান রাজ্যের বাফেলো শহরে একটি দোকানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন ১০ জন নাগরিক। তখনই মিশিগানের ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার প্রদেশে কড়া বন্দুক আইন আনতে চান তিনি।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর হুইটমার জানিয়েছেন, বন্দুক আইন নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ— ইউনিভার্সাল ব্যাকগ্রাউন্ড চেক। অর্থাৎ যিনি বন্দুক কিনছেন তার অপরাধের কোনো রেকর্ড আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে তারপরই বন্দুক বিক্রি করা। এছাড়া, গুলি যেন আলাদা রাখা হয়, সেই লক্ষ্যেও নতুন আইন আনতে চান গভর্নর হুইটমার।
ওয়াশিংটন প্রদেশেও আসছে নতুন বন্দুক আইন। তা হচ্ছে— বন্দুক কেনার জন্য আবেদন করার অন্তত দশ দিন সময় নিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ও বাধ্যতামূলক সেফটি ট্রেনিং, অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি।
ভার্জিনিয়া, কানেটিকাট, কলোরাডো প্রদেশেও কড়া বন্দুক আইন চালু করা হবে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রদেশে তৃণমূল স্তরে কাজ করছে বেশ কিছু সংস্থা— ‘গ্র্যান্ডমাদার্স এগেনস্ট গান ভায়োলেন্স’, ‘মাদারস এগেনস্ট গান ভায়োলেন্স, ‘এভরিটাউন ফর গান সেফটি’।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
এমএইচএস