ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নাম আসেনি রাশিয়ার কোনো মন্ত্রী বা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বের। এসেছে মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভা নামে এক নারীর নাম।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ নারীর বিরুদ্ধে গত শুক্রবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
এতে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন ওই নারী। কেননা, যেখানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু কিংবা যুদ্ধের মাঠের কোনো জেনারেলের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি হয়নি।
প্রশ্ন উঠেছে কে এই মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভা? তিনি কি রাশিয়ায় লাভরভের চাইতেও বেশি প্রভাবশালী? পুতিনের এতোই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব!
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভা। তিনি পুতিনপন্থী রাশিয়া ইউনাইটেড পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার অন্যতম শহর পেনজায় একটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মারিয়া। যেখানে প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের বিশেষ সেবা দেওয়া হতো। সে কারণে শিশুদের নিয়ে কাজ করার বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে এই মারিয়ার। তিনি নিজেও শিশুদের গিটার বাজানো শেখাতেন। তিনি দত্তক নিয়েছেন ১৮ শিশুকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে ছয় হাজারের বেশি শিশুকে নিয়ে গেছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত করা হবে এসব শিশুদের। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত রুশ দূতাবাস এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছে।
তবে বলা হচ্ছে, শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুতিনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মারিয়াও।
যে কারণে পুতিনের সঙ্গে মারিয়া বেলোভাকেও একই অভিযোগে দোষী করে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
মারিয়া বেলোভার জন্ম রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলের পেনজা শহরে। তার স্বামী একজন ধর্মযাজক। তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এসএএইচ