পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ জেলার একটি গ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর হামলায় হাভেলিয়ান পৌরসভার মেয়রসহ ১০জন নিহত হয়েছেন। নিহত মেয়র আতিফ মুন্সিফ খান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ছিলেন।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২১ মার্চ) স্থানীয় পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে। জেলা পুলিশ কর্মকর্তা উমর তুফায়েল জানিয়েছেন, হাভেলিয়ানের মেয়র আতিফ মুন্সিফ খান গাড়িতে চড়ে যাওয়ার পথে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া গুলি আতিফের গাড়ির ফুয়েল ট্যাংকে গিয়ে লাগে। এ সময় গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, মেয়রকে বহনকারী গাড়িটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। স্থানীয়রা এ সময় দুই ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাছে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
হামলার ঘটনার পর আরও একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোয় ভাইরাল হয়, যেখানে ল্যাংড়া গ্রামে শিশুদের সঙ্গে আতিফকে ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে।
হামলার ঘটনায় নিহত ১০ জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য অ্যাবোটাবাদ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। হামলাকারীদের আটক করতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।
এ ঘটনার পর কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে দাবি করা হচ্ছে, পিটিআই নেতা আতিফকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল।
২০২২ সালে অ্যাবোটাবাদের হাভেলিয়ান তহসিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খাইবার পাখতুনখোয়া স্থানীয় নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন আতিফ মুন্সিফ খান। পরবর্তীতে তিনি ইমরান খানের পিটিআই’য়ে যোগ দেন। আতিফের বাবা মুন্সিফ খান জাদুনও ছিলেন একজন রাজনৈতিক। তিনি কেপি বিধানসভার সাবে সদস্য ও প্রাদেশিক মন্ত্রী ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে তাকেও হত্যা করা হয়েছিল।
কেন বা কী কারণে এ হামলা সে ব্যাপারে অ্যাবোটাবাদ পুলিশ নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে বুলন্দ খান পরিবারের সঙ্গে আতিফের পরিবারের পূর্বশত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দুই পরিবারে কয়েক দশক ধরে শত্রুতা বিরাজমান। এবং যে এলাকায় হামলাটি ঘটেছে, সেখানে এ দুই পরিবারের আধিপত্যও ব্যাপক।
বুলন্দ খান ও মুন্সিফ খান পরিবারের শত্রুতায় এখন পর্যন্ত তাদের প্রায় দুই ডজন মানুষ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
এমজে