ব্যবসায়িক বা পর্যটক ভিসায় গিয়ে চাকরির আবেদনের সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) থেকে সম্প্রতি এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয় বলা হচ্ছে, এতদিন বিজনেস বা ট্রাভেল ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কোনো ব্যক্তি কাজ করার সুযোগ পেতেন না। এখন থেকে সেটি হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে পারবেন। ইউএসসিআইএস থেকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় বি-১ ও বি-২ ভিসা। বি-১ ভিসা প্রধানত স্বল্পমেয়াদী ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য; বি-২ ভিসা পর্যটন উদ্দেশ্যে জারি করা হয়।
গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলোয় সম্প্রতি ব্যাপক ছাটাই হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এ কোম্পানিতে কর্মরত হাজারো বিদেশি নাগরিক তাদের চাকরি হারান। তারা এ দেশে থাকা ও কাজের জন্য ভিসার অধীনে নির্ধারিত ৬০ দিনের সময়ের মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে কার্যত যুদ্ধ করছেন। তাদের সুযোগ দিতেই ইউএসসিআইএস চাকরির আবেদনের সুযোগ দিচ্ছে।
খবরে আরও বলা হয়, অনেকেই এখন পর্যন্ত তাদের তাদের ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় পরিণত করছেন। এমনকি চাকরি হারানোর পরও বিদেশিদের আমেরিকায় থাকার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
টুরিস্ট ভিসায় থাকাকালীন চাকরির জন্য আবেদন করা সম্ভব হবে কি ? এর উত্তরে, ইউএসসিআইএস স্পষ্ট করেছে যে বি-১ বা বি-২ ভিসা বহনকারীরা চাকরির সন্ধান বা ইন্টারভিউতে বসতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চাকরি থেকে ছাঁটাই হলে কয়েকদিনের মধ্যে বি-১ বা বি-২ ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যেত। ইউএসসিআইএস কিছু জিনিস নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, যেমন- এ দুটি ভিসাধারীরা বা বি-১ বা বি-২ স্ট্যাটাসধারীরা ডোমেস্টিক লেবার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না। কোনো নতুন কাজে যোগ দেওয়ার আগে বি-১ বা বি-২ থেকে কর্মসংস্থান-অনুমোদিত স্ট্যাটাসে ভিসার রূপান্তর প্রয়োজন। নতুন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই এটি কার্যকর করতে হবে। যদি ভিসার স্থিতির পরিবর্তনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে হবে, অথবা তাদের নতুন চাকরি শুরু করার আগে একটি বৈধ নিয়োগ-অনুমোদিত স্থিতিতে পুনরায় প্রবেশ করতে হবে।
সূত্র: লাইভমিন্টডটকম
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এমজে