পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন দেশটির ৩৩ সেনা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) পূর্বাঞ্চলের শহর ওগারৌতে হামলার ঘটনাটি ঘটে। সেখানকার সৈন্যরা অন্তত ৪০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। আমাদের শক্তিশালী সেনারা পৌঁছানোর আগেই এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী জিন ইমানুয়েল ওয়েড্রোগো এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের সরকার বৃহস্পতিবারের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে, যাতে বর্তমান পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করা হবে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। তারা বলছেন, ইউনিফর্ম পরা লোকজন কয়েক ঘণ্টা ধরে গণহত্যা চালায়।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানির দাবি, এ হামলায় অন্তত দেড়শজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
২০১৫ সাল থেকে বুরকিনা ফাসোর সশস্ত্র বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য লড়াইয়ে মারা গেছে। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে কমপক্ষে দুই মিলিয়ন মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বুরকিনা ফাসোয় চলমান সহিংসতা দেশটির সামরিক বাহিনীতে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২০২২ সালে দেশটিতে পরপর দুটি অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। এর মাধ্যমে বুরকিনা ফাসোর মসনদ আরোহণ করেন বর্তমান নেতা নেতা ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর।
গত সেপ্টেম্বরে তিনি ক্ষমতায় আসার পর দেশের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন বছর শুরুর পর থেকে বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আরও হামলার ঘটনা ঘটে। যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।
এ অবস্থায় ২০২৪ সালের মধ্যে নিজ দেশে বেসামরিক সরকার জন্য নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর। কিন্তু তার আগে সামরিক প্রশাসনের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এমজে