ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সদস্য খাদের আদনান ইসরায়েলি কারাগারে মারা গেছেন। তার বিরুদ্ধে ইসরায়েল সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছিল।
ইসরায়েল বলছে, আদনান মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা নিতে চাননি। তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। মঙ্গলবার সকালের দিকে তাকে কারা সেলে অচেতন অবস্থাইয় পাওয়া যায়।
ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আদনানকে পুনরুজ্জীবিত করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আদনানের আইনজীবী ইসরায়েলকে চিকিৎসার অবহেলায় অভিযুক্ত করেছেন।
আদনানের আইনজীবী জামিল-আল খতিব রয়টার্সকে ফোনে বলেন, তাক্র গ্রেপ্তারের ৩৬ দিন পর আমরা চেয়েছিলাম তাকে বেসামরিক হাসপাতালে নেওয়া হোক, যেখানে তিনি পর্যবেক্ষণে থাকবেন। দুর্ভাগ্যবশত ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ এই চাওয়ায় প্রত্যাখ্যান জানায়।
আদনানের মৃত্যু ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়ের গাজা সীমান্তে সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে সেগুলো খোলা জায়গায় পড়েছে।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ বলছে, আমাদের লড়াই চলছে। শত্রুরা বুঝতে পারবে যে, তাদের অপরাধের জবাব দেওয়া হবে। সর্বশক্তি ও সংকল্পের মাধ্যমে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।
৪৫ বছর বয়সী আদনানের জন্ম জেনিনে। পশ্চিম তীরে তিনি ইসলামিক জিহাদের বেশ পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। হামাসের মতো ইসলামিক জিহাদও ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনার বিরুদ্ধে। তারাও ইসরায়েল ধ্বংসের পক্ষে।
ফিলিস্তিনের প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী আদনান ১২ বার আটক হয়েছেন। কারাগারে কাটিয়েছেন প্রায় আট বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
আরএইচ