বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইন থেকে নার্স নেবে কুয়েত। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ওইসব নার্সদের দেশটির বিভিন্ন স্থানে নতুন খোলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে কুয়েতের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যমান ঘাটতি পূরণ হবে।
কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল-খালেদ আল-সাবাহ কর্তৃপক্ষকে প্রবাসী জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শ্রমিকদের অবশ্যই কুয়েতের বৃহৎ সম্প্রদায় ছাড়া অন্য দেশের হতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শ্রমের ঘাটতি মেটাতে ও শ্রমের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি জনশক্তি কর্তৃপক্ষ (পিএএম) অনুসারে, নির্দেশাবলীর মধ্যে রয়েছে নতুন শ্রম-রপ্তানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা। এ পদক্ষেপ শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে ‘জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীন সমস্যা’ মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রের প্রচেষ্টার অংশ মাত্র।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কুয়েতে বিশেষায়িত শ্রম পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে ফিলিপাইনের প্রতিনিধি দল মে মাসের শেষের দিকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার পর ফিলিপাইন থেকে শ্রমিক আনার সম্ভাবনা শুরু হবে। গৃহকর্মীদের জন্য দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ এবং সপ্তাহে এক দিন ছুটি থাকবে। এ সীমা অতিক্রম করলে ওভারটাইম হিসেবে গণ্য হবে।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসা সহায়তা পরিষেবা খাতে তিনটি দরপত্র আহ্বানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। যাতে প্রাক্বলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ দশমিক ১ মিলিয়ন দিনার (আনুমানিক ১৮৭ মিলিয়ন ডলার)।
চুক্তি অনুযায়ী- হাওয়ালি, সাবাহ, ক্যাপিটাল, জাহরা, ফারওয়ানিয়া, মুবারক আল-কাবীর ও আহমাদির স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নার্স সরবরাহ করা হবে। এ ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার বোঝা কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ পদক্ষেপ উচ্চ বেকারত্বের হার প্রশমিত করে ও মূল খাতে শ্রমের ঘাটতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
জেএইচ