২৪ বছর আগে তৎকালীন ইউগোস্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের দূতাবাসে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বিমান হামলার কথা চীনের জনগণ কখনও ভুলে যাবে না।
সোমবার (৮ মে) বেইজিংয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটকে তার সেই ‘বর্বরোচিত অপরাধের’ কথা স্মরণ করতে হবে। নতুন করে চীনের সঙ্গে সংঘাত ও বিবাদ বাধানোর মতো শীতল যুদ্ধকালীন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
১৯৯৯ সালের ৭ মে ন্যাটো জোটের যুদ্ধবিমান বেলগ্রেডের চীনের দূতাবাসে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে ওই দূতাবাসে অবস্থানরত তিন চীনা সাংবাদিক নিহত ও অন্তত ২০ কূটনীতিক আহত হন।
ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ন্যাটো জোট নিজেকে একটি আঞ্চলিক ও আত্মরক্ষামূলক সংস্থা বলে দাবি করা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী বহু ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
তিনি উদাহরণ হিসেবে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কসোভো, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া ও সিরিয়ায় ন্যাটো জোটের হামলার কথা উল্লেখ করেন।
ওয়াং বলেন, শুধুমাত্র ২০০১ সালের পর ন্যাটো যতগুলো আগ্রাসন চালিয়েছে তাতে লাখ লাখ মানুষ নিহত ও কোটি কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ন্যাটো এবার পূর্ব এশিয়া এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার অশুভ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে চীন রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে- এমন অজুহাত তুলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার চেষ্টা করলে চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩।
এমএইচএস