তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কিংবা তার প্রধান বিরোধী প্রার্থী কেউই ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি।
যদিও এখনো ভোট গণনা শেষ হয়নি, তবুও সর্বশেষ ফল অনুযায়ী তুরস্ক দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি ৯৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোটের হিসাব দিয়েছে, যাতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট।
আর এটিএ পার্টির সিনান ওগানের ভোট ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। ভোটের আগেই সরে যাওয়া প্রার্থী মুহাররেম ইনচে পেয়েছেন দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট
তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওগান সম্ভবত দ্বিতীয় দফা ভোটের কিংমেকার হতে পারেন। তিনি টুইটে বলছেন, দ্বিতীয় দফা ভোট বেশ সম্ভব এবং তুর্কি জাতীয়তাবাদী এবং আতাতুর্কবাদীরা এই নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
রোববারের ভোট তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।
এই নির্বাচনে জিততে হলে একজন প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫০ শতাংশ পেতে হবে। নতুবা দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া হবে।
ভোটের ফল গণনার সময় দুই দলই ভোটে এগিয়ে থাকার দাবি করছে। এখনো অল্প কিছু ভোট গণনার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ভোটের রাতে আঙ্কারায় পার্টির হেডকোয়ার্টারে বলেন, তিনি প্রধান বিরোধী প্রার্থীর থেকে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ভোটে এগিয়ে।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক জীবনে, ব্যতিক্রম ছাড়া, আমরা সর্বদা জাতীয় ইচ্ছার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছি। আমরা এই নির্বাচনেও এটাকে সম্মান করি, আগামী নির্বাচনেও সেটাকে সম্মান করব।
অন্যদিকে কামাল কিলিচদারোগলু সাংবাদিকদের বলেন, যদি আমাদের দেশ দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের কথা বলে, আমরা অবশ্যই দ্বিতীয় দফায় জিতব।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের প্রধান আহমেত ইয়েনের এর আগে বলেন, এ পর্যন্ত ৯১ দশমিক ৯৩ শতাংশের বেশি ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
দ্বিতীয় দফা ভোট হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো ভোট গণনা চলছে।
তুরস্কে ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ লাখ হচ্ছেন নতুন ভোটার, যাদের বয়স ১৮-২২ বছরের মধ্যে, যারা প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছেন।
কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
আরএইচ