জার্মানির মধ্যবামপন্থী সরকার দেশব্যাপী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করতে চায়। অনেক তরুণ এ ধারণাটিকে সমর্থন করলেও জনসংখ্যার অধিকাংশই ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
জার্মানের সংবিধান ও মৌলিক আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কারো ১৮ বছর পূর্ণ হলেও সে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
কিন্তু অনেক তরুণই এ নিয়মে সন্তুষ্ট নন। তাদের প্রশ্ন কেন ১৬ বছর বয়সে ফেডারেল নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না?
জার্মানির জোট সরকারের তিন দল এ প্রস্তাবের সমর্থন দিয়েছে। দলগুলো হলো-মধ্যবামপন্থী সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি), নব্য উদারপন্থী ব্যবসাবান্ধব (এফডিপি) ও পরিবেশবান্ধব গ্রিন পার্টি।
জার্মানির শিশু সুরক্ষা সমিতি এবং জার্মান শিশু তহবিলের পরামর্শ হচ্ছে- তারা ভোটারের বয়স ১৪ বছরে নামিতে আনতে চায়।
রায়ে লিনজোনম নিসায়াতু নামে এক শিক্ষার্থী ডয়চে ভেলেকে বলেছে, ভোটারের বয়স ১৪ বছর করা হলে তা অনেক কম হয়ে যায়।
বার্লিন থেকে ১৬ বছর বয়সী একজন বলেন, ১৬ বছর বয়সে ফেডারেল নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হোক। আমার মতে এটিই ঠিক আছে।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, অন্তত ৬০ ভাগ মানুষ এ ধারণাটিকে পছন্দ করছেন না৷
জরিপ সংগঠন আইএনএসএ সম্প্রতি এমন একটি জরিপে দেখেছে, ৬২ ভাগ সংসদ নির্বাচনে এত কমবয়সীদের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে৷
সাত বছর আগেও এমন আরেক জরিপে দেখা গেছে, ৮০ ভাগ মানুষ বিষয়টিকে সমর্থন করছেন না৷
এদিকে, জোট সরকারের তিন দল বিষয়টিকে সমর্থন করলেও রক্ষণশীল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন-সিডিইউ ও তাদের সহযোগী ক্রিস্টিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন-সিএসইউ তা সমর্থন করেনি৷ তাদের সমর্থকদের মধ্যে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেশি৷
হিসেবে দেখা গেছে, ১৬ বছর ভোটারের সর্বনিম্ন বয়স হলে নতুন ১৫ লাখ ভোটার যুক্ত হবেন আগামী নির্বাচনে৷ ২০২১ সালের নির্বাচনে মোট ছয় কোটি ১১ লাখেরও বেশি ভোটার নিবন্ধিত ছিলেন৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
জেএইচ