ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে’, ওবামার মন্তব্যের পর যা বললেন বাইডেন 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
‘ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে’, ওবামার মন্তব্যের পর যা বললেন বাইডেন 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরকালে ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওবামা বলেন, যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে।  

এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই মোদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে যৌথ বিবৃতি দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেই সময় তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক নাগরিকের মর্যাদা এবং অধিকার রক্ষা করার ওপর বিশ্বাস করি। এটি আমেরিকার ডিএনএতে রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি, এটা ভারতের ডিএনএতেও রয়েছে। তাই আমাদের সাফল্যে পুরো বিশ্বের ভূমিকা রয়েছে।

ওবামার আমল থেকেই ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিল ভারত। সেই সময় তার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। আজ সেই বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আর এর মধ্যেই ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব ওবামা।  

ওবামা বলেন, যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের উচিত ভারত সরকারের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকারের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা।

ওবামা বলেন, বৈঠকে বসলে ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের অবস্থানের বিষয়টি উত্থাপিত করা উচিত বাইডেনের। আমি মোদিকে নিজে চিনি। আমি যদি এই পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে দেখা করতাম, তাহলে আমি তাকে বলতাম, আপনি যদি সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা না করেন, তাহলে ভারতের টুকরো টুকরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

এর আগে ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতা বাইডেনকে চিঠি লিখেছিলেন। ভারতের সংখ্যালঘুদের ইস্যুটি মোদির সামনে উত্থাপিত করার অনুরোধ জানান তারা। তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভারতকে গণতন্ত্র নিয়ে জ্ঞান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র আমাদের চেতনায়, আমাদের শিরায়। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমাদের সরকার সংবিধান মেনে কাজ করে। বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, বয়সের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য নেই ভারতে। ভারত গণতন্ত্রের শ্বাস নেয় তাই বৈষম্যের প্রশ্নই আসে না। হিন্দুস্তান টাইমস।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।