রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধের পরিবর্তে এখন উল্টো রুশ বাহিনীর জন্যই বড় হুমকি হয়ে উঠেছে তারা।
ভাড়াটে যোদ্ধাদের গ্রুপটির প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন এ হুমকি দিয়েছেন।
তিনি জানান, রুশ নেতৃত্বকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করে ছাড়বেন। এই পথে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদেরও ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৩ জুন) তিনি অভিযোগ করেছেন, তার বাহিনীর ওপর মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো এবং এর কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
প্রিগোজিনের সঙ্গে কয়েক মাস ধরেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্ব চলছে।
ওয়াগনার গ্রুপের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার এবং সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রিগোজিন দাবি করেছেন, তার বাহিনী রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তবে এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি তিনি।
তার এই হুমকির পর রোস্তভের সব বাসিন্দাকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মস্কোর দক্ষিণে লিপেটস্ক অঞ্চলের গভর্নর ইগর আর্টামনভ বলেছেন, অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বলছি।
সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাশিয়ার এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিস। ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির বাহিনীকে প্রিগোজিনের আদেশ উপেক্ষা করে তাকে গ্রেফতার করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।
ওয়াগনারের ‘সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রচেষ্টা’ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সার্বক্ষণিক আপডেট রাখছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ১৬ মাস আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে সম্ভবত এটিই তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
জেডএ