বিদ্রোহ ঘোষণার পর ইতোমধ্যেই রাজধানী মস্কোর দিকে অর্ধেকেরও বেশি পথ এগিয়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধারা।
জবাবে রাশিয়ার সামরিক হেলিকপ্টারগুলো থেকে ওয়াগনার যোদ্ধাদের একটি কনভয় লক্ষ্যে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবিসির এক আপডেট প্রতিবেদনেও এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে। ওয়াগনার নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের অগ্রবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রিগোজিন নিজেই।
প্রিগোজিন এক টেলিগ্রাম পোস্টে হামলার প্রমাণ না দিয়ে এবং এই হামলা কোথায় হয়েছে- তা উল্লেখ না করেই বলেন, আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে- প্রথমে আর্টিলারি থেকে এবং পরে হেলিকপ্টার থেকে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ জুন) রাতারাতি দেশটির দক্ষিণের শহর রোস্টভ-অন-ডন দখল করার পর, ভাড়াটে বাহিনীটি রাজধানী মস্কোর দিকে বজ্রের গতিতে এগোচ্ছে বলেই খবরে প্রকাশ।
রয়টার্সের একজন সাংবাদিক দাবি করেছেন যে, তিনি রুশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোকে ওয়াগনার বাহিনীর একটি সশস্ত্র কনভয় লক্ষ্যে গুলি চালাতে দেখেছেন। যেটি একটি ফ্ল্যাটবেড ট্রাকে সৈন্য বহন করছিল এবং কমপক্ষে একটি ট্যাঙ্ক নিয়ে ভোরোনেজ শহরের পাশ দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এম৪ মোটরওয়েতে রোস্টভ এবং মস্কোর মধ্যখানের প্রায় অর্ধেক পথে অবস্থিত ভোরোনেজের কাছে একটি জ্বালানী ডিপোতে একটি হেলিকপ্টার এবং বড় ধরণের ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বিদ্রোহী ওয়াগনার গ্রুপের টেলিগ্রাম পেইজে দেওয়া এক বার্তায় গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন দাবি করেন যে, তার বাহিনী কোনোধরনের গোলাগুলি ও রক্তপাত ছাড়াই রোস্টভ শহর দখলে নিয়েছেন।
নতুন এই অডিও বার্তায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিন দাবি করে বলেন, তার সৈন্যরা একটিও গুলি না চালিয়েই দক্ষিণের রোস্টভ-অন-ডন শহর দখল করেছে।
তিনি আরও দাবি করেন যে, রোস্টভ-অন-ডনের বাসিন্দারা ‘ন্যায়বিচারের মিছিল’ আখ্যা দিয়ে তার সৈন্যদের সমর্থন করছেন।
তবে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো যে ফুটেজ সম্প্রচার করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে- রোস্টভের বাসিন্দারা ভাগনার সৈন্যদের সঙ্গে তর্ক করছেন এবং তাদের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আদেশ মানতে অনুরোধ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
এনএস