মিয়ানমারের একটি গ্রামে দেশটির সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জুন) দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে আন্দোলন করছে গণতন্ত্রপন্থীরা। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। জাতিগত কয়েক ডজন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়ছে জান্তা বাহিনী।
অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বিরোধীদের দমনে বিমান হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে একের পর এক গ্রামকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে তারা।
সর্বশেষ হামলা নিয়ে এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উত্তর সাগাইং রাজ্যের ‘নিয়াং কোন’ গ্রামে একটি সামরিক বিমানের সাহায্যে তিনটি বোমা ফেলা হয়েছে। এতে ১০ বেসামরিক লোক নিহত ও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
গ্রামটির অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধা কো জাও তুন বলেন, এ বিমান হামলায় ১১টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে কারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবুও তারা এসে বোমা নিক্ষেপ করেছে।
‘নিয়াং কোন’ গ্রামের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, সন্ধ্যার পর আমি ও গ্রামের আরও কয়েকজন মিলে মরদেহগুলোর শেষকৃত্য করি। বক্তব্যের জেরে তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, এমন শঙ্কায় এই ব্যক্তি নিজের পরিচয় প্রকাশ না করতে এএফপিকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, আমরা জানি না সামরিক বাহিনীর পরবর্তী পরিকল্পনা কি। আমরা শুধু নিহতদের শেষকৃত্য করেছি।
বিবিসি বার্মিজ ও অন্যান্য স্থানীয় গণমাধ্যম বিমান হামলার বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে গণমাধ্যমগুলো বলছে, হামলায় নয়জন নিহত হয়েছে। গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, এ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে একটি বহুতল ভবন। সেখানে আগুন লেগে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, দীর্ঘ দু’বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও এখনও বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াইয়ের মুখোমুখি জান্তা সরকার। স্থলভাগে বিদ্রোহীদের সঙ্গে না পেরে তারা বিমান হামলার আশ্রয় নিচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
মার্চে জাতিসংঘ থেকে বলা হয়, গত বছর বিদ্রোহীদের দমনে তিনশর বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।
সূত্র: আরব নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
জেডএ