ফ্রান্সের প্যারিসে ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর জেরে গত পাঁচদিন ধরেই বিক্ষোভ সহিংসতায় উত্তাল ফ্রান্স। নিহত ওই কিশোরের নাম নাহেল মেরজুক।
নাদিয়া নামে এই নারী বিএফএম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা চাই না তারা দোকান, বাস ও স্কুল ধ্বংস করুক।
তিনি বলেন, তারা নাহেলকে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা চাই বিষয়গুলো শান্ত হোক।
মঙ্গলবার নাহেলকে গুলি করে হত্যার পর গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ অফিসারের জন্য দান করা অর্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার হৃদয় ব্যথায় রয়েছে।
তবে তিনি বলেন যে, তার আস্থা আছে যে পুলিশ অফিসারকে অন্য সবার মতো শাস্তি দেওয়া হবে।
নাহেলের নানি নাদিয়া বলেন, আমি ক্লান্ত। সব শেষ। আমার নাতনি আর বেঁচে নেই।
দাঙ্গা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্কুল ধ্বংস করো না। বাস ধংস করো না।
শনিবার রাতে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল ফ্রান্সের মার্সেই শহর। সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের দমন করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্রান্সে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে শনিবার রাতেই অন্তত ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে প্যারিসের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত ছিল শনিবার রাতে। সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে বিক্ষোভকারীরা সংগঠিত হতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৩
আরএইচ