ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তুরস্ক থেকে রাশিয়াকে যে হুঁশিয়ারি দিলেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
তুরস্ক থেকে রাশিয়াকে যে হুঁশিয়ারি দিলেন জেলেনস্কি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে শস্য চুক্তি নবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা করতে বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আর সেখানে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিলেন জেলেনস্কি

তিনি বলেছেন, আমরা ক্রিমিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি।

এটি রাশিয়া এখনও বেআইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমি বিশ্বাস করি, যেকোনোভাবেই আমরা ক্রিমিয়ার ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাব।  

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে ইস্তাম্বুলে এরদোয়ানের সঙ্গে ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  

সম্মেলনে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করার জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি।  

তিনি বলেন, আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য আমি তুরস্কের কাছে কৃতজ্ঞ।  

এদিকে ইউক্রেন-তুরস্কের দুই প্রেসিডেন্টের সম্মেলন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে রাশিয়া।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকবে। তাদের আলোচনা থেকে কী ফলাফল বের হয়— তা জানতে আমরা সত্যিই আগ্রহী। ’

তুরস্কের প্রশংসা করে পেসকভ আরও বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের একটি গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনী বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর তুরস্ক একাধিকবার মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়েছে। তাই আলোচনার ফলাফল জানা আমাদের জন্য প্রয়োজন। ’

প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসাগরের উত্তর উপকূলে অবস্থিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেনের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র। ইউক্রেনের মস্কোপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগে বাধ্য হন। এর কিছু দিন পরই ক্রিমিয়ায় বিভিন্ন সরকারি দফতর দখল করে নেয় রুশপন্থি বন্দুকধারীরা। একই বছর স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থী মিলিশিয়ারা। এর ফলে সেখানে শুরু হয় যুদ্ধ; কিন্তু পশ্চিম দিক থেকে রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়।

পাঁচ বছর ধরে চলা যুদ্ধে নিহত হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ। প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছাড়ে। ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া।  
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিকে ইউরোপে সবচেয়ে বড় ভূমি দখল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এসএএইচ

সূত্র: সিএনএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।