যদিও নাইজারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর ফ্রান্সের সাথে করা পূর্বের সামরিক চুক্তিগুলি বাতিলের ঘষণা দিয়ে আসছিল তবে ফ্রান্স নাইজারের সাথে পাঁচটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি পূরণের জন্য জোর দিয়েছে। তাদের ভাষ্য চুক্তিগুলি পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির 'বৈধ কর্তৃপক্ষের' সাথে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়,"প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নাইজারের সাথে তাদের সহযোগিতার জন্য আইনি কাঠামোটি বৈধ নাইজার কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পন্ন করা চুক্তির উপর ভিত্তি করে প্রতষ্ঠিত যা ফ্রান্স এবং সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়। "
নাইজারের প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রাক্তন প্রধান আব্দুরহামানে তচিয়ানি তার বাহিনী বাজুমের প্রশাসনকে উৎখাত করার দুই দিন পর নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ঘোষণা করেছিলেন। তার মুখপাত্র আমাদু আবদ্রামেন গত বৃহস্পতিবারের ঘোষণা করে যে, নাইজারের বর্তমান কর্তৃপক্ষ ঔপনিবেশিক শাসকদের সাথে সকল সামরিক চুক্তি ছিন্ন করছে।
সামরিক চুক্তি বাতিল হলে ফ্রান্সকে নাইজারে মোতায়েন করা ১০০০ থেকে ১৫০০ সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। নাইজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও অল্প সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন আছে।
সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদ এবং লিবিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া সহ সাতটি দেশের সাথে সীমানা থাকায় একটি অঞ্চলকে ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা হয়।
নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থান কে ব্যর্থ করে দিতে ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) কে সহায়তা প্রদান করবে ফ্রান্স। দেশটির ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা বলেছেন, ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তাদের হাতে রবিবার পর্যন্ত সময় আছে, অন্যথায় নাইজারে ইকোওয়াস সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি ফ্রান্স অবশ্যই "খুবই গুরুত্ব সহকারে" নেবে। এছাড়া ফ্রান্সের কোনো মিডিয়াকে নাইজারে কাজ করতে না দেয়ার সমালোচনাও করে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা,আগস্ট ০৬,২০২৩
এমএম