জাতিসংঘে নিযুক্ত সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তখন ভাষণ দিচ্ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এমন সময় প্রতিবাদ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনী ইসরায়েলি দূতকে আটক করছেন এবং অধিবেশন কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন।
ফক্স নিউজ বলছে, কেন তাকে আটক করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়, যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে মঙ্গলবার ভাষণ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় একটি মাসা আমিনির পোস্টার তুলে ধরে প্রতিবাদ করেন এরদান। পোস্টারে লেখা ছিল, ইরানি নারীরা এখন মুক্তি প্রত্যাশা করেন।
এরদান এক বিবৃতিতে বলেন, যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট, তেহরানের কসাই রাইসি তার ভাষণ শুরু করেন, আমি মাসা আমিনির ছবিসহ একটি পোস্টার তুলে ধরে নাড়াতে থাকি। এই তরুণী ঠিকঠাকভাবে হিজাব না পরার কারণে সরকারের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি কখনই সত্যের জন্য লড়াই বন্ধ করব না এবং আমি সর্বদা জাতিসংঘের নৈতিক বিকৃতি প্রকাশ করে যাব।
২২ বছর বয়সী ইরানি নারী দেশটির নীতি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। এতে দেশটিতে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। ১৬ সেপ্টেম্বর তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো।
১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর থেকে ইসরাইল ও ইরান চরম শত্রু। প্রায়ই দেশ দুটি একে অপরকে নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া চলতি বছরের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৪০ জনের বেশি বিশ্বনেতা ও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
আরএইচ