শস্য আমদানি নিয়ে বিতর্কের জেরে ইউক্রেনের কট্টর মিত্র দেশ বলে পরিচিত পোল্যান্ড এখন থেকে আর কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ না করার ঘোষণা দিয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার পরিবর্তে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে তার দেশ।
নিজ নিজ দেশের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সস্তায় ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কিয়েভের তিন প্রতিবেশী দেশ। বিপরীতে কিয়েভ থেকে খাদ্য আমদানিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে মামলা দায়ের করে ইউক্রেন।
রুশ আগ্রসনের শিকার কিয়েভের অভিযোগ, ইউক্রেনের ইইউ প্রতিবেশীদের এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।
শস্য আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির একদিন পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচলের প্রধান রুট বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রুট হিসেবে স্থল পথে কিয়েভের ইউরোপীয় প্রতিবেশী দেশ গুলোতে প্রচুর পরিমাণে শস্য ঢুকতে থাকে। যার ফলে সেই দেশের কৃষকরা তখন থেকেই শস্য আমদানির প্রতিবাদ করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, ইউক্রেনীয় শস্যে স্থানীয় বাজারকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের প্রতিবাদের মুখে ২৭-সদস্যের ইইউ ব্লক চলতি বছরের শুরুতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও সেইসাথে বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াতে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সম্মত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়:১১৩০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
এমএম