গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের দক্ষিণে খান ইউনিসের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় সাত শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা কার্যত বেশি। কেননা, বেশ কয়েকটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা করেছিল ইসরায়েল। মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় একফিলিস্তিনি শিশু নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়া একটি স্কুলের কাছের এক বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ সময় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু রয়েছে।
খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত আহমেদ আবদেলাজিজ স্কুলের কাছে অবস্থিত বাড়িটি ছিল আল বাকরি পরিবারের। ইসরায়েলি হামলায় ওই পরিবারের সাত শিশুসহ অন্তত নয়জন নিহত হন।
বিমান হামলায় বাড়িটি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।
এক ছবিতে দেখা যায়, খান ইউনিসের গাজা ইউরোপিয়ান হাসপাতালে একটি স্ট্রেচারে ছয়টি শিশুর মরদেহ রাখা। তাদের শরীরের ওপরে শুধু ধুলার আস্তরণ। হাসপাতালের চিকিৎসা এ দৃশ্য দেখে শুধু কেঁদেই যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউসুফ আল আক্কাদ বলেন, এটি একটি গণহত্যা। বিশ্ব দেখুক- এরা শুধুই শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এমজে