ফিলিস্তিনে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সফলতা বা অর্জনের ব্যাপারে অন্যান্য দেশকে জানাতে সফল না হওয়ায় বরখাস্ত হয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। ২০২৩ সালের শেষ দিন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এলিকে বরখাস্ত করে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এও বলা হয়েছে, ইহুদি কর্তৃত্ববাদী সরকার তার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়োগ দিয়েছে। এলি কোহেন বরখাস্ত হওয়ায় তার স্থলে দায়িত্ব পালন করবেন ইসরাইল কাটজ।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, দেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইসরাইল কাটজের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) অনুমোদন পেলেই তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
গাজা যুদ্ধের তৃতীয় মাস শেষ হতে চলেছে। বিশ্ব জনমত ও সরকারগুলোর পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের ব্যাপারে চাপে রয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিকে বরখাস্ত করলো নেতানিয়াহু সরকার। ফিলিস্তিনে তাদের সেনাবাহিনীর অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে এলি ব্যর্থ হওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে জনগণের ব্যাপক উপস্থিতিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যে কারণেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
এছাড়া গত ২৭ আগস্ট ইতালিতে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন এলি কোহেন। বৈঠকটি ক্যামেরার পেছনে না হওয়ায় লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা আল-মংঘোশ দেশটির জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পড়েন। যে কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর লিবিয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে ইহুদিবাদী সরকার ও লিবিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়া চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদনগুলোয় উল্লেখ করা হয়েছে, এসব তথ্য সুরক্ষায় এলি কোহেন দুর্বল ছিলেন। ফলে ইহুদিবাদী মিডিয়া তাকে বরখাস্তের দাবি জানায়। কিন্তু শুরুতেই এলিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু যখন বিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে, এলিকে বরখাস্ত করেন তিনি।
সম্প্রতি এলি নিজেও বরখাস্তের আশঙ্কা করে ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েডিয়ট আহারোনটকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে এলি উল্লেখ করেন, তিনি সরকারের চুক্তিকে সম্মান করেন। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন এটি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। তিনি নেতানিয়াহুর জেদের কারণ বুঝতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৪
এমজে