জার্মানিতে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো বা রিমাইগ্রেশন-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এএফডি (অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি) দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছে, অভিবাসীদের গণহারে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম কারেকটিভ রিপোর্টের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চেভেলে জানিয়েছে, পটসডামের একটি হোটেলে রিমাইগ্রেশন ইস্যুতে দক্ষিণপন্থি দল এএফডি ও নব্য নাৎসীরা বৈঠক করেছেন।
এই বৈঠকের প্রতিবাদ জানাতে বার্লিন ও পটসডামে জড়ো হন হাজারো মানুষ। যেখানে রাজনৈতিক দল হিসেবে এএফডি কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে। সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জার্মান চেঞ্চেলর শলৎস। যদিও কিছু দিন আগে শলৎস বলেছিলেন, যাদের জার্মানিতে থাকার অধিকার নেই, এমন মানুষদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা আমাদের শেষ পর্যন্ত করতেই হবে।
পটসডামের বৈঠকে অভিবাসীদের বহিষ্কার করা নিয়ে একটি সামগ্রিক ধারণা ও মাস্টার প্ল্যান বানানোই ছিল মূল কর্মসূচি। সেখানে যারা রেসিডেন্ট পারমিট নিয়ে আছেন অথবা যারা জার্মানির নাগরিকত্ব পেয়েছেন, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের সঙ্গে মিশে যেতে পারেননি, তাদের প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
জানা যায় নব্য নাৎসীদের সেই বৈঠকে যোগদানকারী নেতারা আলোচনা করেন অভিবাসীরা যে দেশ থেকেই আসুন না কেন, তাদের নিজেদের আদি দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত ডেন্টিস্ট ও অতি-দক্ষিণপন্থি নেতা গারনট মোরিগ ছিলেন এই বৈঠকের আয়োজক। তার সঙ্গে ছিলেন শিল্পপতি হানস-ক্রিশ্চিয়ান লিমের। বৈঠকে যারা যোগ দিয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ইউরো ডোনেশন চাওয়া হয়। এএফডি-র সহকারী নেতা অ্যালিস ওয়েইডেলের পরামর্শদাতা রোলান্ড হার্টউইগ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও এএফডির পার্লামেন্ট সদদের মধ্যে কয়েকজন বৈঠকে ছিলেন।
তবে বৈঠকে যারা যোগ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম হলো অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদ মার্টিন সেলনার। তিনিই রিমাইগ্রেশনের তত্ত্ব বিস্তারিতে বলেন।
এই বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পরার পর থেকেই কর্মী সংকটে থাকা ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশটির লিবারেল দল গুলোর সমর্থকরা এর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। যার প্রতিবাদে বার্লিনের সমাবেশের আওয়াজ ছিল, 'গণতন্ত্র বাঁচাও'। ২৫ হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বলে আয়োজকরা দাবি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এমএম