ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের দরপত্রে অংশ নিতে পারবেন না ভারতীয় চাল রপ্তানিকারকরা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
জাতিসংঘের দরপত্রে অংশ নিতে পারবেন না ভারতীয় চাল রপ্তানিকারকরা

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) চাল সংগ্রহের দরপত্রে অংশ নিতে পারবেন না ভারতীয় চাল রপ্তানিকারকেরা।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ মজুত ধরে রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত কয়েক দফায় বিভিন্ন প্রকার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এসব নিষেধাজ্ঞাকে অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বাধা হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা। এবার জাতিসংঘ তাদের চাল সংগ্রহের দরপত্রে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

বিশ্বে ক্ষুধা বা খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় থাকা অঞ্চলগুলোতে বিতরণের জন্য ডব্লিউএফপি চাল সংগ্রহ করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দরপত্রের মাধ্যমে এই খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়।

ডব্লিউএফপি তাদের এক দরপত্র নথিতে বলেছে, ভারতের চাল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে, আমরা ভারতীয় উৎস থেকে আসা চাল গ্রহণ করতে পারছি না।

উল্লেখ্য, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বের মোট চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশ এই দেশ থেকে হয়।

ভারত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমে ভাঙা চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এর পাশাপাশি সেদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে দেশটি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে প্রতি টন বাসমতি চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ১ হাজার ২০০ ডলার ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করে দেয় ভারত।

চাল রপ্তানিতে ভারতের এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও কানাডা বলেছে, এ ধরনের ব্যবস্থা চাল আমদানিতে অধিক নির্ভরশীল দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

২০২০ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৮২টি দেশের সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ খাদ্য নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আর গত বছরের অক্টোবরে ডব্লিউএফপির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতি চারজনের একজন খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় আছে। এর ফলে দেশে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার এমন পরিস্থিতিতে ভারতের চাল রপ্তানিতে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

তবে মাল্টিস্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটিস (এমএসসিএস) অ্যাক্টের অধীনে ভারত সরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু বন্ধুদেশে চাল রপ্তানি করছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, সেনেগাল, গাম্বিয়া, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ইরান।

সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস নিউজ

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।