উত্তর কোরিয়া তাদের একটি ডুবো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় দেশটি এ পরীক্ষা চালাল।
উত্তর কোরিয়া ডুবো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাটির নাম দিয়েছে ‘হেইল-৫-২৩’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের থিংক ট্যাংক পূর্ব উপকূলে এর পরীক্ষা চালায়। তবে কবে পরীক্ষাটি চালানো হয়, প্রতিবেদনে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। খবর রয়টার্সের।
মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র সামরিক মহড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে অভিযুক্ত করে এর বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির বিপরীতে কড়া জবাব দেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের পাশাপাশি তিন দেশের নৌবাহিনী বুধবার পর্যন্ত তাদের তিন দিনের নিয়মিত মহড়া চালায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এর আগে পারমাণবিক অস্ত্রটির পরীক্ষা সম্প্রচার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে এটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে কথিত ডুবো অস্ত্রটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
‘হেইল’ শব্দের অর্থ হলো সুনামি। নতুন ড্রোন ব্যবস্থাটি ২০২৩ সালের মার্চে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে যে, পানিতে থাকা শত্রুর ওপর লুকিয়ে আক্রমণ করা এবং ডুবো বিস্ফোরণের মাধ্যমে বড় তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ তৈরি করে নৌদল ও প্রধান আভিযানিক বন্দরগুলোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যেই এটি তৈরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
আরএইচ