ইরাক থেকে বিদেশি সেনা সরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল-সুদানি।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বাগদাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা হয়।
এর আগে গত বছরের আগস্টে ওয়াশিংটনে এক বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারের আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বিদেশি সেনারা ইরাক থেকে চলে গেলে সামরিক বিশেষজ্ঞরা ইরাকি নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএল) এর বিরুদ্ধে গ্লোবাল কোয়ালিশনের মিশন তদারকি করবেন এবং শেষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী। খবর আল জাজিরা
২০১৪ সালে আইএসআইএল ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল। ওই সময়টাতে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সেনা মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে ২ হাজার ৫শ মার্কিন সেনা ইরাকে মোতায়েন রয়েছে।
তবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার আত্মঘাতি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে জোট বাহিনীর সেনারা অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে ইরানি মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালাচ্ছে; পক্ষান্তরে বাগদাদের অভিযোগ, ইরাকের মাটিতে কাশেম সুলেমানির মত ইরানি নেতাদের হত্যা করে ইরাকি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র ‘আগ্রাসন’ চালাচ্ছে।
এমন পটভূমিতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর আশা আলোচনার মাধ্যমে বিদেশি সেনার উপস্থিতি কমানোর জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে। এই আলোচনার আগেও সুদানি বিদেশি সেনাদের তার দেশে ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য আল-সুদানির সরকারের প্রতি ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা দলগুলোর সমর্থন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এমএম