ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হিন্দুত্ববাদীদের চোখ ঐতিহাসিক সব মসজিদে, এবার নিশানায় আজমীর শরিফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
হিন্দুত্ববাদীদের চোখ ঐতিহাসিক সব মসজিদে, এবার নিশানায় আজমীর শরিফ

ভারতের বিখ্যাত আজমীর শরিফের নিচে ‘মন্দির’ আছে দাবি তুলে এবার আদালতে পিটিশন দায়ের করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু সেনা’। গত সেপ্টেম্বরে এই পিটিশন দায়ের করার পর আজমীরের একটি আদালত দাবিটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, আজমীর শরিফ হিসেবে পরিচিত সূফি সাধক মইনউদ্দিন চিশতির দরগাহের মাটির নিচে একটি শিব মন্দির রয়েছে। সেখানে আবারও পূজা করার অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন রিটকারী। খবর এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।  

কদিন আগেই ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মুঘল যুগের শাহী জামে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলিম বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। তারও আগে উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবির মুখে উত্তর প্রদেশের জ্ঞানবাপি মসজিদের একাংশে পূজার অনুমতি দেয় আদালত। মূলত ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করার পর থেকে এই ভয়াবহ প্রবণতা ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।    

পিটিশনারদের আইনজীবী যোগেশ শিরোজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেওয়ানি বিচারক মনমোহন চান্দেল এ ব্যাপারে আজমীর দরগাহ কমিটি, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার নয়াদিল্লি অফিসকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। পিটিশনে দাবি করা হয়, আজমীর শরিফের চারপাশে হিন্দু ধর্মের মৃৎশিল্প ও খোদাই রয়েছে।  

এই মামলাটিও মূলত উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদের মামলার মতোই, যেখানে মসজিদটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের ওপর নির্মিত দাবি করা হয়। আদালতের নির্দেশে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেখানে ইতোমধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে এবং মসজিদের একটি অংশে পূজার অনুমতি দিয়েছে। মথুরা শাহী ঈদগাহের জমির মালিকানা নিয়েও একই দাবি করা হয়।

আজমীরের পিটিশন নিয়ে উগ্রবাদী শিব সেনার প্রধান নেতা বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, আমাদের দাবি হলো আজমীর শরিফকে ‘সংকট মোচন মহাদেব’ মন্দির হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। যদি দরগার কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন থাকে সেটি বাতিল করতে হবে। ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থাকে দিয়ে জরিপ করাতে হবে এবং হিন্দুদের সেখানে পূজা করার অধিকার দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।