রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে ফুলেফেঁপে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের ব্যবসা। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম (ডিফেন্স) কোম্পানিগুলো ২৩৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে।
এই বেচাকেনার মধ্যে ৮১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র মার্কিন সরকারই বিক্রি করেছে। আর বাকি অংশ ডিফেন্স কোম্পানিগুলো সরাসরি বিভিন্ন দেশের নিকট বিক্রি করেছে। খবর বিবিসি
ইউক্রেনের পাশের দেশ পোল্যান্ড তাদের সামরিক সক্ষমতা ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস), আব্রামস ট্যাঙ্ক এবং ইন্টিগ্রেটেড এয়ার অ্যান্ড মিসাইল ডিফেন্স ব্যাটল কমান্ড সিস্টেম।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক মনে করেন, এই সামরিক আধুনিকীকরণ কর্মসূচি পোল্যান্ডকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী স্থল শক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে।
একই সময়ে জার্মানির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্রি ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। এই টাকায় চিনুক হেলিকপ্টার কিনবে তারা। বুলগেরিয়া স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান কিনতে খরচ করেছে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। নরওয়ে ১ বিলিয়ন ডলারের মাল্টি-মিশন হেলিকপ্টার কিনেছে। চেক প্রজাতন্ত্র কিনেছে এফ-৩৫ জেট এবং তার ক্ষেপণাস্ত্র, যার মূল্য ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপের বাইরে, দক্ষিণ কোরিয়া ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এফ-৩৫ জেট কিনেছে। অস্ট্রেলিয়া সি১৩০জে-৩০ সুপার হারকিউলিস প্লেনের জন্য ৬.৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। জাপান একটি ই-২ডি হকআই নজরদারি প্লেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে পৌঁছেছে।
রাশিয়ান ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে এমন দেশগুলোও মার্কিন অস্ত্র বিক্রির এই প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেনকে সাহায্য করার নীতিও সেদেশের অস্ত্রশিল্পের প্রসারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক গতিশীলতায় সহায়তা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
এমএম