যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি গোষ্ঠীটির ওপর এটি নতুন হামলা।
শনিবারের হামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) হুতিদের একটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা চালিয়েছ। রোববার ভোরে ক্ষেপণাস্ত্রটি লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় প্রস্তুত ছিল।
লোহিত সাগরে বাব-এল-মান্দেবের সরু প্রণালীতে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর ওপর হুতিদের হামলা বিশ্ববাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছে। এসব হামলার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর ওপর কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও নৌ হামলা চালিয়েছে। হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজগুলোর ওপরও। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে হুতিরা এসব হামলা চালায়।
হুতিদের চাওয়া ছিল, গাজায় যেন ইসরায়েল মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়। উপত্যকাটিতে ২৩ লাখ মানুষের বাস, যারা ক্ষুধার মুখোমুখি।
শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ার ওপর শুক্রবার মার্কিন বিমান হামলার পর হুতিদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটল। গেল সপ্তাহে জর্ডানে তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় ওয়াশিংটন ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের ওপর দোষ চাপায়। এর ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স হলো ইরান-সংশ্লিষ্ট একটি সশস্ত্র জোট। তেহরান অবশ্য ড্রোন হামলা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে।
সেন্টকম বলছে, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডের সমর্থনে তারা হামলা চালিয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে ১৩টি স্থানে ৩৬টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয় বলে যৌথ বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সমর্থন দেওয়া দেশগুলো।
বাংলাদেশ সম: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
আরএইচ