ভোটের দিন পাকিস্তানে নিরাপত্তা জোরদার করার অজুহাতে বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল ফোন পরিষেবা। এছাড়া অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রয়েছে বলে দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানানো হচ্ছে।
তবে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। ভোটে কারচুপির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়ায় সাময়িকভাবে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও বিপদের মোকাবিলা করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।
ভোটের আগের দিনই পাকিস্তানের বালুচিস্তানে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। মারা গেছেন ২৮ জন। করাচিতে গ্রেনেড আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইমরান খানের দলের নেতারা বলছেন, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা খুবই লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং মোবাইল পরিষেবা অবিলম্বে চালু করতে হবে।
সাবেক পিপিপি সেনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোখার বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে কারচুপি নিশ্চিত করতেই মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে ভোটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্ত পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অস্থিরতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে টানা বিকাল ৫টা (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
আরকেআর/এমএম