ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, গণনা চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, গণনা চলছে

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

এ ভোটে রয়েছে কারচুপির অভিযোগ। আর ভোট ঘিরে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা।  

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর পাকিস্তানে এ নির্বাচন এলো।  

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর গেল বছর দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তার দল প্রতীক ছাড়াই ভোটে রয়েছে।

ভোটে আরও রয়েছে পাকিস্তান পিপল'স পার্টি, যেটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিলাওয়াল ভুট্টো ও আসিফ আলি জারদারি।

বিশ্লেষকদের অনেকের ভাষ্য এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে কম বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে গণনাও শুরু হয়েছে।  

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বলেছে যে, তারা সারা দিনে পাওয়া ভোট-সম্পর্কিত ৭৬টি অভিযোগের সমাধান করেছে।  

২০২৪ সালের নির্বাচন বিভিন্ন দিক থেকে ২০১৮ সালের আগের নির্বাচনগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বরাদ্দকৃত রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন রুপির বাজেট। তাছাড়া ভোটার সংখ্যাও অনেক বেশি।  

এ নির্বাচনে ৯০ হাজার ৬৭৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন ১৪ লাখের বেশি পোলিং স্টাফ। ১৬ হাজার ৭৬৬টি কেন্দ্রকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।  

২৪১ মিলিয়ন লোকের বাস পাকিস্তানে। দেশটিতে ১৮ বছরের বেশি নাগরিক অর্থাৎ ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন। চলতি বছর জাতীয় পরিষদে মোট পাঁচ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

প্রতিটি আসনে গড়ে ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ শতাংশ বা চার হাজার ৮০৬ জন পুরুষ প্রার্থী, আর নারী প্রার্থী ৩১২ জন। এই তালিকায় দুই ট্রান্সজেন্ডারও রয়েছেন।

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৩৩৬টি, এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আর সংরক্ষিত রয়েছে ৭০টি আসন। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের জন্য এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য।

জয়ী প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। ফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্রদের যেকোনো দলে যোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচনের পর জাতীয় পরিষদ পার্লামেন্টারি ভোটের মাধ্যমে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হয়, যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।  

সরকার গঠনের জন্য একটি দলকে সংসদে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হয়। ন্যূনতম ১৫৯ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয়।

সূত্র: বিবিসি, জিও নিউজ ও এনডিটিভি

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।