পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনায় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা পর্যন্ত এগিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও টিভির অনলাইন সংস্করণ বলছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অস্থায়ী ফলাফল অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে পিটিআই।
৪৬ আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। আর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৩৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন ৫ জন।
মোট ১৬৫ আসনের মধ্যে দেড়শ’ আসনের ভোট গণনায় এ অনানুষ্ঠানিক ফলাফল এসেছে।
পাকিস্তানে ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন।
এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও দল মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ প্রার্থী জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি, পাঞ্জাব পরিষদের ২৯৬টি, সিন্ধ পরিষদের ১৩০টি, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ১১৩টি ও বেলুচিস্তানের ৫১টিসহ মোট ৮৫৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে পাকিস্তানের বহুল প্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচনে।
এদিন সারা দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু রাজনৈতিক সহিংসতার খবরও পাওয়া যায়। এদিন খাইবার পাখতুনখোয়াতে ভয়াবহ হামলার ঘটনাও ঘটে।
ভোটের ফল প্রকাশে নজিরবিহীন দেরি হচ্ছে। ভোট বন্ধ হওয়ার ১৭ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি গণনা।
ভোট গণনায় এত দেরি হওয়ায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
এসএএইচ