পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন দেশটির জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) করাচি প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমান। তিনি জয় পাওয়া সিন্ধু বিধানসভার আসনও ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার এ দুই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেআই করাচি প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমান নিজের আসন ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, নির্বাচনে তার ভোট বেশি দেখিয়ে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আদতে তা ঘটেনি।
নাঈম বলেন, পাকিস্তান তেহরকি ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রার্থী সাইফ বারী আমার চেয়ে ভোট বেশি পেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে ১১ হাজার ভোট কমিয়ে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় জেআই প্রার্থী হাফিজ নাঈম-উর-রহমান ২৬ হাজার ২৯৬ ও পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী সাইফ বারী ২০ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়েছেন বলে জানায়।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিএস-১২৯ নম্বর আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাঈম। তিনি বলেন, জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমি ২৬ হাজার ভোট পাই। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আমার ভোটের সংখ্যা সংশোধন করে ৩০ হাজার করে ইসিপি। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী সাইফ বারী ৩১ হাজার ভোট পেলেও ১১ হাজার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিএস-১২৯ নম্বর আসনটিতে তিনিই বিজয়ী হন।
তিনি আরও বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তানকে (এমকিউএম-পি) পিটিআইয়ের ম্যান্ডেট স্বীকার করা উচিৎ। এমকিউএম-পির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা জয় পাবে এমন সম্ভাবনা কখনও ছিল না। এর চেয়ে দুর্বল আসনেও তারা জিততে পারেনি।
এদিকে ইমরান খানের দল পিটিআই এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে নাঈমের এ ঘোষণার প্রশংসা করে বলেছে, আমরা অন্যান্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও এ ধরনের সততা প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এমজে