রাশিয়ার ছয় ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তাদের সম্পদ আটকে দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যেও যেতে পারবেন না।
পশ্চিমা নেতারা বলছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রুশ কর্তৃপক্ষ দায়ী।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন বলেন, যারা নাভালনির প্রতি নৃশংস আচরণে জড়িত, তাদের ক্ষমা নেই। আমরা তাদের জবাবদিহি করব।
ব্রিটিশ সরকার নাভালনির মরদেহ দ্রুত তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
নাভালনির মায়ের যে চাওয়া, তা যুক্তরাজ্যের আহ্বানে তা- প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ওই নারীকে মঙ্গলবারও কারাগারের বাইরে দেখা গেছে। ছেলের মরদেহ পাঁচদিন ধরে দেখতে চাইছেন তিনি। এখনো মা জানেন না তার ছেলের মরদেহ কোথায় আছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন, ওই কারাগারের প্রধান কর্নেল ভাদিম কনস্টান্টিনোভিচ কালিনিন, উপ-প্রধান লে. কর্নেল সের্গেই নিকোলাভিচ, উপ-প্রধান লে. কর্নেল ভ্যাসিলি আলেকজান্দ্রোভিচ ভিড্রিন, উপ-প্রধান লে. কর্নেল ভ্লাদিমির ইভানোভিচ পিলিপচিক, উপ-প্রধান লে. কর্নেল আলেকজান্ডার ভ্লাদিমিরোভিচ গোলিয়াকভ, উপ-প্রধান আলেকজান্ডার ভ্যালেরিভিচ ওব্রেজটসভ।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে গিয়ে লর্ড ক্যামেরন বলেন, এটি স্পষ্ট যে, রুশ কর্তৃপক্ষ নাভালনিকে হুমকি হিসেবে দেখেছে। তারা বারবার তাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, রুশ শাসন ব্যবস্থার নিপীড়নমূলক প্রকৃতি সম্পর্কে কারও সন্দেহ করা উচিত নয়। আমরা ওই কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি, যেখানে নাভালনি শেষ মাসগুলো কাটিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
আরএইচ