ইউরোপ এক যুদ্ধ-পূর্ব সময়ে প্রবেশ করেছে। রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন পরাজিত হলে ইউরোপে কেউ নিরাপদবোধ করতে পারবে না।
ইউরোপীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি কাউকে ভয় দেখাতে চাই না, কিন্তু যুদ্ধ এখন আর অতীতের ধারণা নয়। যুদ্ধ এখন বাস্তব এবং এটি দুই বছরেরও আগে শুরু হয়ে গেছে।
ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে তিনি এসব মন্তব্য করলেন। রাশিয়া গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনে বোমা হামলা বাড়িয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, তারা ৫৮টি ড্রোন ও ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শ্যামিহাল বলেন, পশ্চিম, মধ্য ও পূর্বের ছয়টি অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট টাস্ক বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরইমধ্যে কোনো প্রমাণ ছাড়াই মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে জিহাদি হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। স্পষ্টতই তিনি ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্রমবর্ধমান সহিংস হামলাকে ন্যায্যতা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রাশিয়া প্রথমবারের মতো দিনের আলোতেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে কিয়েভে হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেওয়ার পর তিনি নিজের প্রথম বিদেশি সাক্ষাত্কারে প্রতিরক্ষা জোরদারে ইউরোপের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের জন্য জরুরি সামরিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে তিনি সতর্ক করেন, যুদ্ধের পরবর্তী দুই বছর সবকিছুর সিদ্ধান্ত নেবে। টাস্ক বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন আমরা সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
আরএইচ