গাজার হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে। আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত হয় ১ দশমিক ৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ। এ ফলে ভাইরাল হেপাটাইটিসে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে গাজার ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘস্থায়ী বড় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে গাজা শহরের কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর তাল আল-হাওয়া এলাকা থেকে ফিলিস্তিনির একের পর এক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসল বলেন, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়। ফিলিস্তিনের উদ্ধারকর্মীরা ৬০টি লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও একই পরিবার।
কিছু মৃতদেহ কুকুরে খাচ্ছিল। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের লাশ দাফন করে কর্তৃপক্ষ। অন্যদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিরক্ষা দলগুলো জানিয়েছে, এলাকার ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা ও ভবনগুলো থেকে মৃত ও আহতদের উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাজা শহরে একটি পরিকল্পিত গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা।
অন্যদিকে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার ত্রাণকর্মীর নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের মানবিক সংস্থা আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র কর্মী সদস্য ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৩৩৫ জন নিহত এবং ৮৮ হাজার ২৯৫জন আহত হয়েছে। এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এমজে