গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিকোলাস সারওয়ে। আর সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে ১.৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের ($১.০৯ মিলিয়ন) মামলা ঠুকে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নিকোলাসসহ আরও ছয়জন শিক্ষার্থীকে সম্পত্তির ক্ষতি, অনুপ্রবেশ এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত জুন মাসের শেষের দিকে বিক্ষোভে ভাটা পড়লে অনেক শিক্ষার্থী গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ি ফিরে যান। তখনই নিকোলাস একটি ইমেইল পান। যেখানে তার বিরুদ্ধে ১.৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের মামলার কথা জানানো হয়।
প্রথমে তিনি ইমেইলটিকে টাইপ করার সময়ে ঘটিত ভুল ভাবেন, কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানেন এটি সত্যি। নিকোলাস সারওয়ে এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি হুমকি ও নিপীড়নের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন।
আলজাজিরাকে নিকোলাস বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি দেড় হাজার ডলারের কথা বলেছে এবং তারা একটি টাইপো (টাইপ করতে গিয়ে ভুল) করেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে, আমি নিশ্চিত হলাম যে এটি ছিল দেড় মিলিয়ন ডলার!’।
এই মামলার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে এবং ভাটা পড়া বিক্ষোভ ফের জেগে ওঠার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এটিকে তাদের দমন করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে নিকোলাস সারওয়ে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থী জানান, তারা এখনও তাদের ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তাদের দাবিগুলি অব্যাহত রাখবেন। নিকোলাস বলেন, ‘আমি তাদের ভয় পাই না। আমি মনে করি আমাদের কেউই ভয় পায় না। ’
উল্লেখ্য, বিক্ষোভটি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। তবে জুন মাসের শেষে, বিক্ষোভের পরিবেশ শান্ত হয়ে আসে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
এসএএইচ