ভারতে জ্বর, সর্দি-কাশি, ব্যথা ও অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত ১৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সদ্য বাতিল হওয়া ওষুধগুলোর প্রত্যেকটিই অতিপরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধ।
আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার (২৪ আগস্ট) জানিয়েছে, গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর ‘ককটেল’ ওষুধগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকর। এগুলোর প্রতিটিই ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন’ (এফডিসি) ওষুধ।
ককটেল মানে হলো একটি ওষুধের মধ্যে অনেক ওষুধের মিশ্রণ। বিশেষজ্ঞ টিম ওষুধগুলো পরীক্ষা করে দেখেছে এগুলো রোগীদের জন্য ঠিক নয়। ব্যথা কমানোর ওষুধে রয়েছে ৫০ মিলিগ্রাম অ্যাসিক্লোফেন্যাক এবং ১২৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল—যা দুটি আলাদা আলাদা শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়।
তা ছাড়া রয়েছে সর্দি-জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার, মাল্টিভিটামিন, মেফেনামিক অ্যাসিড, প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন, ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল, প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি, প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল, ক্লোরফেনির্মাইন মালেট, ফেনিল প্রোপানোলামিনসহ একাধিক।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বৃহত্তর জনস্বার্থে দেশের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০ অনুযায়ী এই সব ওষুধের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এর আগেও ২০২৩ সালে ৩৪৪টি ওষুধকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। ফলে সাময়িক অস্বস্তিতে পড়েছিল সাধারণ মানুষ। তবে বিকল্প হিসেবে অন্য ওষুধ রোগীরা খেতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এমজে