যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট শেষ হতে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত খবর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৯৫ (১৭.৬৬%) ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে। ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজের কোটা পূরণ করতে তার প্রয়োজন আরও প্রয়োজন ১৭৫ ভোট।
অপরদিকে কমলা হ্যারিস ৩৯ (৭.২৫%) ভোট। তার দরকার আরও ২৩১ ইলেক্টোরাল ভোট।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ৫৩৮। একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট।
প্রতিবেদনগুলো বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট শেষ হয় কেন্টাকিতে। এরপর ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ভোট শেষ হয়। তারপর থেকেই ভোটবুথগুলো থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেন্টাকি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাচ্ছেন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি। ভারমন্টে জয় পাবেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস- এ কথাও বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
এরকমভাবে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ফলাফল প্রকাশ পাচ্ছে। দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প বা হ্যারিক কে কত ভোট পাচ্ছেন, সেটির আগাম ধারণা পাওয়া যায় বুথফেরত জরিপ থেকে। গণমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্পই এগিয়ে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ এখনই সম্ভব না। কেননা, এই জরিপকে চূড়ান্ত ফলাফল বলে ধরে নেওয়া যাবে না।
এনবিসি বলছে, এক জরিপে দেখা গেছে- ৫১ শতাংশ ভোটার অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ওপরই আস্থা রাখছেন। যেখানে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। এছাড়া ৭২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা দেশের অবস্থা নিয়ে ‘রাগ’ বা ‘অসন্তুষ্ট’। এটিকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার জন্য ‘খারাপ লক্ষণ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভোটের এমন ফলাফল দেখে অনেকটাই আশাবাদী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্ত্রী মেলানিয়াকে ফ্লোরিডার পাম সৈকতের নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন ট্রাম্প। পরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। অসংখ্য রিপাবলিকান ভোট দিচ্ছেন। আমি শুনেছি আমরা খুবই ভালো করছি। এই নির্বাচনে কোনো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৪
এমজে