ভারতের উত্তরপ্রদেশে মহাকুম্ভমেলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কুম্ভমেলার এক চিকিৎসক আন্তর্জতিক সংবাদ সংস্থকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে প্রয়াগরাজ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলায় আগত লাখ লাখ পূণ্যার্থী জনতা গঙ্গাস্নানের উদ্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই গঙ্গা নদীর তীরে জড়ো হয়। বুধবার সূর্য ওঠার আগেই স্নান শেষের বাধ্যবাধকতা থাকায় ব্যাপক ভিড় ছিল গঙ্গার তীরে। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। হঠাৎ ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ায় ভিড়ের মধ্যে আটকে পড়েন অনেকে। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আহতদের উদ্ধার করে মেলা প্রাঙ্গণেরই হাসপাতালে আনা হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেককেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
উৎসবের বিশেষ নির্বাহী কর্মকর্তা আকাঙ্ক্ষা রানার মতে, প্রয়াগরাজ শহরে মহাকুম্ভমেলায় একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথম দিকে ভক্তরা নদীর তীরে স্নানের জন্য ছুটে গেলে ভিড়ের মধ্যে পড়ে তীর্থযাত্রীরা পদদলিত হয়। এছাড়া এ ঘটনায় আরও ৬০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত ৯০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, সেই ভক্তদের মধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
ভারতের এই কুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাগম হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতি ১২ বছর পর পর হয় এই মেলা এবং এতে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জড়ো হন কয়েক কোটি পুণ্যার্থী।
১৪৪ বছর পর পর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এ মেলা হয়। ভারতের সরকারি তথ্য অনুসারে, এবারের মেলায় ভারত, নেপাল ও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন অন্তত ১৪ কোটি ৮০ লাখ পুণ্যার্থী।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুসারে, এবারের মেলায় ভারত, নেপাল ও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন অন্তত ১৪ কোটি ৮০ লাখ পূণ্যার্থী। উত্তর প্রদেশ সরকারের তথ্য বিভাগের অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সময় আজ সকাল ৬ টায় ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি তীর্থযাত্রী স্নান করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
আরআইএস