যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের সরানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর হবে সাময়িক।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, পুনর্গঠনের জন্য গাজা উপত্যকার দখল নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে গাজাবাসীকে অন্যত্র পুনর্বাসন করা হবে।
প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাব জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থাসহ আরব নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। এমন সময়ে মুখ খুললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট ট্রাম্পের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে না।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের প্রস্থান ও অভিবাসনের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গুয়াতেমালা সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব শত্রুতাপূর্ণ নয়, বরং এটি একটি উদার প্রস্তাব, যা ওই অঞ্চলের পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহের চিত্র তুলে ধরে।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসিন্দাদের অস্থায়ী সময়ের জন্য গাজা ত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে, যাতে ধ্বংসাবশেষ সরানো এবং পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, দখলকৃত অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
বুধবার হোয়াইট হাউসে ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট গাজা পুনর্গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সেখানকার বাসিন্দাদের অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করতে চান তিনি।
তবে ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছিলেন, গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর হবে স্থায়ী।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট গাজায় সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেননি, তবে তিনি সেখানে মার্কিন সেনা ব্যবহারের সম্ভাবনা অস্বীকার করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
আরএইচ