জার্মানি ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং নীতিনির্ধারণে নেতৃত্বদানকারী দেশগুলোর একটি। তাই, দেশটির চ্যান্সেলর কে হবেন এবং সংসদে কোন দল কী পরিমাণ ক্ষমতা পাবে— তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ নীতি ও দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যেভাবে নির্বাচিত হন জার্মান চ্যান্সেলর
জার্মানিতে প্রতিটি বড় রাজনৈতিক দল সাধারণত জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের শীর্ষ প্রার্থী ঘোষণা করে, যিনি দলটির চ্যান্সেলর পদের জন্য সম্ভাব্য মুখ হতে পারেন।
নির্বাচনের পর, দলগুলো পার্লামেন্টে আসন ভাগাভাগির ভিত্তিতে জোট গঠনের চেষ্টা করে, কারণ আগের নির্বাচন গুলোতে দেখা গেছে
দেশটিতে এককভাবে কোনো দল খুব কমই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে।
এরপর, জার্মান প্রেসিডেন্ট সংসদে চ্যান্সেলর পদের জন্য একজন প্রার্থী মনোনীত করেন, সাধারণত যে ব্যক্তি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া জোটের নেতৃত্বে থাকেন। এরপর বুন্দাস্টেগ (জার্মান পার্লামেন্ট) এর সদস্যরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচন করেন। নির্বাচিত হওয়ার জন্য, প্রার্থীকে সংসদের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেতে হয়।
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন?
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্র ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে প্রতিটি ভোটারের দুটি ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে:
প্রথম ভোট– এই ভোট সরাসরি একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য, যা স্থানীয় এলাকার প্রতিনিধি ঠিক করে।
দ্বিতীয় ভোট– এটি মূলত রাজনৈতিক দলের জন্য দেওয়া হয়, যা সংসদে দলগুলোর মোট আসনের সংখ্যা নির্ধারণ করে।
দ্বিতীয় ভোটই মূলত ঠিক করে দেয়, কোন দল সংসদে কতটা শক্তিশালী হবে। তবে কোনো দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার জন্য অন্তত ৫% ভোট পেতে হবে, নতুবা তারা আসন পাবে না (কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও এটি সাধারণ নিয়ম)।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
এমএম