মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বের করে দেওয়া ভেনেজুয়েলার অপরাধ চক্রের ২৬১ সদস্যকে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সেখানেই বন্দি রাখা হবে।
যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলার এসব অপরাধীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু গত শনিবার মার্কিন জেলা বিচারক জেমস ই বোসবার্গ এসব গ্যাং সদস্যদের দেশ ত্যাগের ওপর সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু তার আগেই অপরাধীদের নিয়ে দুটি বিমান এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
সিএনএন বলছে, বিচারক বোসবার্গ মৌখিকভাবে বিমানগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু লিখিত আদেশ না থাকায় সংশ্লিষ্টদের পক্ষে নির্দেশ মানা সম্ভব হয়নি।
খবরে আরও বলা হয়েছে, প্রশাসন আদালতের আদেশ অমান্য করেছে কিনা তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট গত রোববার একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি বলেন, প্রশাসন আদালতের আদেশ মান্য করতে অস্বীকৃতি জানায়নি। এই আদেশটির কোনো আইনি ভিত্তিই ছিল না। সন্ত্রাসী ট্রেন ডি আরাগুয়া (টিডিএ) এলিয়েনদের মার্কিন ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে আদেশটি জারি করা হয়েছে।
প্রশাসন আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছে কিনা সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে ট্রাম্প সেটি এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আমি জানি না। এ বিষয়ে আপনাকে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি এটা বলতে পারি যে তারা খারাপ মানুষ ছিল।
জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক স্টিভ ভ্লাদেক বলেছেন, বিমানগুলো ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিচারক বোসবার্গের মৌখিক নির্দেশটি প্রযুক্তিগতভাবে তার চূড়ান্ত আদেশের অংশ ছিল না। তবে ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্টতই এর ‘আদর্শ’ লঙ্ঘন করেছে। এটি ভবিষ্যতে আদালতগুলোকে তাদের আদেশের ক্ষেত্রে অতি-নির্দিষ্ট হতে উৎসাহিত করবে এবং প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ দেবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ভেনেজুয়েলা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে আনন্দিত তার মিত্ররা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৯৮ সালে করা ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ মাত্র তিনবার ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৫
এসএস/এমজে