ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে গাজায় যুদ্ধ এখনই বন্ধ করার দাবি তুলেছে ইসরায়েলি জনগণ। ওই লক্ষ্যে চল্লিশ জন প্রাক্তন জিম্মি এবং জিম্মিদের পরিবারের আড়াইশ’ সদস্য ইসরায়েলের সরকারকে একটি চিঠি লিখেছেন।
রক্ত ও অশ্রু দিয়ে চিঠিটি লেখা বলে এতে উল্লেখ করা হয়। যারা যুদ্ধ বন্ধ করতে সোচ্চার এবং যেসব জিম্মি বন্দী অবস্থায় নিহত হয়েছিল তাদের স্বজনেরা চিঠিটি লেখেন। এতে ইসরায়েল সরকারকে আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে এবং চুক্তি পুরো করতে আহ্বান জানানো হয়। সমস্ত জিম্মিকে ফেরাতে যুদ্ধ শেষ করে হলেও চেষ্টা চালানোর কথা বলা হয়।
সামরিক চাপ জিম্মিদের বিপদে ফেলছে বলে চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার চেয়ে জরুরি আর কিছু নেই। তাদেরকে বাঁচানোর নামে এক অন্তহীন যুদ্ধ বেছে নেওয়ায় চিঠিতে ইসরায়েল সরকারের সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, এমনটি করার মাধ্যমে আসলে জিম্মিদেরকে বলি দেওয়া হচ্ছে। একে অপরাধমূলক নীতি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ৫৯ জন জিম্মিকে বলি দেওয়ার কোনও ম্যান্ডেট ইসরায়েলি সরকারের নেই।
ইসরায়েলি সরকারের আচরণের তীব্র সমালোচনা করে চিঠিতে বলা হয়েছে, যদি সরকার দাবি না শোনে, তাহলে পরবর্তী নিহত জিম্মির রক্ত সরকারের হাতে লাগবে।
তবে এমন জিম্মির এমন আবেদন সত্ত্বেও গাজার গণহত্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি এখন আর্টিলারি হামলাও শুরু করা হয়েছে।
গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আল-মুঘরাকা এলাকায় সর্বশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বেইত লাহিয়া এবং বেইত হানুনসহ উত্তর গাজার বাড়িগুলোতেও আর্টিলারি হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ২১ মার্চ শুক্রবার রাত থেকে সেখানে বিস্ফোরণ থামেনি। উত্তর গাজার পাশাপাশি নেটজারিম করিডোরেও ইসরায়েলি হামলা চলছে। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে আবাসিক ভবন এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ি ধ্বংস করে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এমএইচডি/এমএম