ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪ শাওয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৫
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে সেভেন সিস্টার্স প্রসঙ্গ নিয়ে ভারতে তোলপাড় চলছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরে ভারতের সেভেন সিস্টার্স (উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য) নিয়ে করা মন্তব্যে দেশটির বিভিন্ন মহলে তোলপাড় চলছে। তাদের কেউ ওই মন্তব্যকে বলেছেন ‘আক্রমণাত্মক’, কেউ বলেছেন ‘বিপজ্জনক’, কেউ কেউ ‘বিস্ময়’ ও ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছেন।

যদিও বাংলাদেশের অনেক বিশ্লেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট বলছেন, বাংলাদেশ বিষয়ে অতীতে ভারত আগ্রাসী ও ‘বড়দাদাসুলভ’ ভূমিকা রেখেছে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর নতজানু অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে ফিরেছে। সেজন্য ড. ইউনূসের এই সহজাত মন্তব্য হজম করতে না পেরে ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায় থেকে অতি-প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে।

যা বলেছিলেন ড. ইউনূস
গত ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চারদিনের চীন সফর করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে তাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় ড. ইউনূসের। এ সময় উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে উভয়পক্ষ। এর মধ্যে ২৮ মার্চ বেইজিংয়ের ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল’-এ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক সংলাপে ড. ইউনূস বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি এ সময় বঙ্গোপসাগর ঘিরে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তরপূর্ব রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। আমরাই এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। ’ তিনি এসব দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন, যা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর ড. ইউনূস ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন। তার আগে ৬ আগস্ট ভারতের সংবাদমাধ্যম এনিডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও ড. ইউনূসের মুখে সেভেন সিস্টার্সের কথা উঠে আসে।

ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের ওপর ভারতের নির্ভরতা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে দলটির ক্ষমতাচ্যুতি হজম করতে না পেরে ভারতীয়দের সেসময়কার আগ্রাসী প্রতিক্রিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি অস্থিতিশীল থাকে, তা মিয়ানমার এবং সেভেন সিস্টার্সে ছড়িয়ে পড়বে। এদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে, ফলে এটি বাংলাদেশের চারপাশে এবং মিয়ানমারে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো হবে। ’

তার ওই বক্তব্যে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায়ের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ঢাকার কৌশলী চিন্তার বিষয়টি সামনে আসে।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও বীণা সিক্রিনাখোশ ভারতের নীতি-নির্ধারক মহল
বেইজিংয়ে ড. ইউনূস এই ‘সাত রাজ্য’র কথা উল্লেখ করার কারণেই নাখোশ হয়েছেন ভারতের রাজনীতিক ও নীতি-নির্ধারক মহল। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাত রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীনা সিক্রি, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রফুল বকশী, ত্রিপুরার টিপরা মোথা পার্টির প্রধান প্রাদ্যত মানিক্য, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা পবন খেরা প্রমুখ।

ড. ইউনূসের ওই বক্তব্যের বিষয়ে নিজের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “ড. ইউনূসের সেভেন সিস্টার্সকে স্থলবেষ্টিত বলে উল্লেখ করা এবং বাংলাদেশকে মহাসাগরের এই অঞ্চলের একমাত্র অভিভাবক হিসেবে স্থান দেওয়া আপত্তিকর এবং কঠোরভাবে নিন্দনীয়। এই মন্তব্য ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোর বিষয়ক স্থায়ী দুর্বলতার বয়ানকে তুলে ধরেছে। ”

মোদীর উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল তার এক্স পোস্টে ড. ইউনূসের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগকে স্বাগত। তবে ভারতের সাতটি রাজ্যের স্থলবেষ্টিত হওয়ার সঠিক তাৎপর্য কী?”

ড. ইউনূসের মন্তব্যে স্তম্ভিত হয়েছেন জানিয়ে ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীনা সিক্রি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এই মন্তব্য খুবই বিস্ময়কর (ভেরি শকিং)। এমন মন্তব্য করার একেবারেই কোনো অধিকার নেই তার। তিনি ভালো করেই জানেন যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার নিয়ে নিবিড় আলোচনা করেছি, এবং এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও রয়েছে। ’

বীণা সিক্রি সতর্ক করে বলেন, “যদি বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য সংযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে ‘আগ্রহী না হয়’, তাহলে এর বিপরীতে নদীর পানি সম্পর্কিত কোনো অধিকারও তারা আশা করতে পারে না। আমাদের অবশ্যই এই মন্তব্যের নিন্দা করা উচিত। ”

প্রাদ্যত মানিক্যের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ভেঙে দেওয়ার প্রচণ্ড হুমকি প্রকাশ পায়। তিনি সাগরে প্রবেশে ভারতকে আরও বেশি আগ্রাসী হওয়ার কথা বলেন। এই রাজনীতিক বলেন, “উদ্ভাবনী ও চ্যালেঞ্জিং প্রকৌশল ধারণার পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ না করে আমাদের বাংলাদেশ ভেঙে সাগরে প্রবেশের সুযোগ করা উচিত। ” 

কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, “ভারতকে ঘিরে ধরতে চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকারের এই মনোভাব আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক। সরকার (সংঘাতকবলিত) মনিপুর সামলাতে পারছে না, চীন অরুণাচলে এরই মধ্যে গ্রাম স্থাপন শুরু করেছে। ’

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রফুল বকশী বলেন, “আমরা বাংলাদেশ তৈরি করেছি। সেসময় আমরা কোনো ভৌগোলিক সুবিধা গ্রহণ করিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান চিকেনস নেক (শিলিগুড়ি করিডোর) নিয়ে আলোচনা করছে এবং ভারতের টুঁটি চেপে ধরে সুবিধা নেওয়ার কথা বলছে। এখন বাংলাদেশ চীনকে ভারতের সাতটি স্থলবেষ্টিত রাজ্যে ঢুকে যেতে বলছে, যা শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর নির্ভরশীল। ’

শিলিগুড়ি করিডোরতার বক্তব্যেও প্রচণ্ড হুমকি প্রকাশ পায়। বকশী বলেন, “তারা বুঝতে পারছে না যে, আমরাও বাংলাদেশের বিপরীত দিকে একই কাজ করতে পারি এবং সাগরপথে তাদের বিচ্ছিন্ন করে টুঁটি চেপে ধরতে পারি। ”

ভারত সরকার এ বিষয়ে সজাগ এবং পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভারত সরকার মিডিয়ার কাছে ছুটে গিয়ে এ নিয়ে হইচই করবে না; সরকার ইতোমধ্যেই অ্যাকশন শুরু করেছে। এমনকি ইউনূসও জানেন ভারত কী করতে যাচ্ছে। ”

আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া নেই ভারত সরকারের
রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ বিভিন্ন মহল বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ভারত সরকার ড. ইউনূসের এই মন্তব্যের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

উপরন্তু ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক—এই প্রত্যাশা করি। ”

চিকেনস নেক ও সেভেন সিস্টার্স ভারতের ‘স্পর্শকাতর’ জায়গা
বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থান ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাতটি রাজ্যের। এগুলো হলো ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।

এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের বিশাল এলাকা নিয়ে চীন ও ভারতের বিরোধ দীর্ঘদিনের। উভয়পক্ষই সেসব এলাকা নিজেদের দাবি করে। এমনকি চীনের মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের অবস্থানও প্রকাশ পেয়েছে, যা নিয়ে ভারতের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে অতীতে। আর মণিপুর, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে বিভিন্ন সময় স্বাধীনতার দাবিতে বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন দেখা গেছে। এসব আন্দোলন দমনে ভারত সরকারের কড়া পদক্ষেপে সেখানে নানা সময় প্রাণঘাতী সহিংসতাও হয়েছে।  

ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে এ সাতটি রাজ্যে প্রবেশের একমাত্র স্থলপথ বাংলাদেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মাথায় ‘চিকেনস নেক’ খ্যাত শিলিগুড়ি করিডোর। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের সীমানা সংলগ্ন ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত পশ্চিমবঙ্গের এই করিডোরটিকে ভারতের সার্বভৌমত্বের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়। ভুটান ও সিকিম সংলগ্ন ডোকলাম মালভূমিতে ভারতের সঙ্গে চীনের সামরিক বাহিনীর উত্তেজনার সময় এই করিডোর বারবার আলোচনায় আসে।  এই করিডোর দিল্লি কর্তৃপক্ষের হাতছাড়া হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশটির বাকি অংশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এজন্য কৌশলগতভাবে ভারত এই অঞ্চলের বাগডোগরা ও হাসিমারায় দুটি বিমানঘাঁটি বানিয়েছে। যার উদ্দেশ্য করিডোরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তকে বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া।

এছাড়া হাসিনার শাসনামলে ভারত তার ওই অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে একটি বিতর্কিত রেল ট্রানজিট সংক্রান্ত চুক্তি করে, যাতে দেশটির মূল অংশ থেকে ট্রেন বাংলাদেশের দর্শনা (দক্ষিণ-পশ্চিমের কুষ্টিয়া) দিয়ে প্রবেশ করে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত (নীলফামারী) দিয়ে ফের ভারতে (উত্তর-পূর্বাঞ্চলে) যেতে পারে।

শিলিগুড়ি করিডোরের পূর্বাংশে থাকা সাত রাজ্যে দেড় দশক আগেও সক্রিয় ছিল স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ভারতকে। আলোচিত ওয়ান-ইলেভেন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে সেসব গোষ্ঠীর অনেক নেতা গ্রেপ্তার হন, যাদের মধ্যে ছিলেন গেরিলা দল ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (উলফা)’-র অনুপ চেটিয়া, লক্ষ্মীপ্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মার মতো নেতারা। এদের একটা সময় ভারতের কাছেও হস্তান্তর করা হয়।

এখন যদিও সাত রাজ্যে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে দিল্লির ‘আস্থাভাজন’ শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা খোদ সেদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বও বলে থাকে। ২০২২ সালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘শেখ হাসিনার পদক্ষেপের কারণেই আসাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। উলফা নেতাদের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন আসামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য ভূমিকা রেখেছে। ’

২০১৮ সালের নির্বাচনী তোড়জোড়ের সময় এই কৃতিত্ব নিতে গিয়ে শেখ হাসিনাও বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যেটা দিয়েছি তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে। ’

ড. ইউনূসের মন্তব্যের বিষয়ে দেশে যে আলোচনা
‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যের প্রশংসা দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত সুযোগ নিয়ে দেশের বাণিজ্যিক সুবিধার স্বার্থ মাথায় রেখে তিনি এ কথা বলেছেন।

সাদিকুর রহমান খান নামে একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ইউনূস সত্যিকার অর্থেই দক্ষিণ এশিয়ার ড্রাইভিং সিটে বসতে যাচ্ছেন খুব সম্ভবত। রোহিঙ্গারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আরাকানে বাংলাদেশ করিডোর চেয়েছে।  আজ (২৮ মার্চ) চায়নাতে বসে সেভেন সিস্টার্সের কথা বলতে যাইয়া চওড়া ভাষায় বলে ফেললেন, এই অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক আমরা। এবং ঠিকঠাক খেলতে পারলে বাংলাদেশ সত্যি সত্যিই এই এলাকার অভিভাবক হতে যাইতেছে। না, সীমানা বাড়ানো, দখল করা টাইপ কোনো কিছুই হবে না। ...বাংলাদেশ হয়তো একদিন সত্যি সত্যিই হয়ে উঠবে এই অঞ্চলের একমাত্র অভিভাবক!”

ড. ইউনূসের ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার দিয়ে মো. ইয়াসিন কবির নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, “আমাদের আরেকজন নেতা দেখান যিনি তার মতো এভাবে কথা বলতে পেরেছেন। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।